বাংলাদেশি জেলেদের প্রত্যাবাসন: ভারতের সাথে সমঝোতা
২০২৪ সালে বিভিন্ন সময়ে সীমান্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতে আটক ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে এবং বাংলাদেশে আটক ৯৫ জন ভারতীয় জেলেদের পারস্পরিক প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫, বঙ্গোপসাগরের পশ্চিমাঞ্চলীয় আন্তর্জাতিক জলসীমায় দুই দেশের কোস্ট গার্ডের মাধ্যমে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশি জেলেদের প্রত্যাবাসন:
৯০ জন বাংলাদেশি জেলেকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্থাপিত হয়। এই জেলেদের বিভিন্ন সময়ে ভারতের জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ৭৮ জনকে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে ওড়িশার পারাদ্বীপে এবং ১২ জনকে সেপ্টেম্বরে আটক করা হয়। এর আগে বাংলাদেশে আটক ৯৫ জন ভারতীয় জেলেদের মুক্তির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া:
দুই দেশের কোস্ট গার্ডের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জেলে ও নৌকর্মীদের হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশের ‘এফভি লায়লা-২’ ও ‘এফভি মেঘনা-৫’ নামের দুটি মাছ ধরার নৌযান এবং ভারতের ছয়টি মাছ ধরার নৌকাও ফিরে আনা হয়। বাংলাদেশি জেলে ও নৌকর্মীরা তাদের নৌযান নিয়ে চট্টগ্রামের পথে রওনা হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী ৬ জানুয়ারী বিকেলে চট্টগ্রামে পৌঁছান। তাদের পরিবারের সদস্যরা চট্টগ্রামে তাদের গ্রহণ করেন।
সংশ্লিষ্ট সংস্থা:
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর, বিজিবি, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, ভারতীয় কোস্ট গার্ড, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রত্যবাসন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি:
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী) বাংলাদেশে আটক ভারতীয় জেলেদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন বলে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।