ফিটনেস সেন্টার

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:৫০ পিএম

ফিটনেস সেন্টার: সুস্থ জীবনের লক্ষ্যে

বাংলাদেশে ফিটনেস সেন্টারের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধুমাত্র শরীরকে বাইরে থেকে সুস্থ রাখা নয়, অভ্যন্তরীণ এবং বহির্ভাগের ফিটনেস বজায় রাখার জন্য অনেকেই এখন জিম বা ফিটনেস সেন্টারে যোগদান করছেন। ফিটনেস সেন্টার এবং জিম শব্দ দুটি প্রায় একই অর্থ বহন করে, তবে কিছু পার্থক্য রয়েছে। কিছু কিছু রোগে ওষুধ না খেয়ে শুধুমাত্র কিছু এক্সারসাইজ করে নিজেকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখার একটা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো এই ফিটনেস সেন্টার বা জিম।

যাদের ওজন বয়সের তুলনায় বেশ কিছুটা বেশি, তারা কসরত করে ঘাম ঝরিয়ে এই ফিটনেস সেন্টারগুলিতে যোগদান করছেন তাদের সুন্দর করে তোলার জন্যে, সঠিক ওজনে নিজেদের ফিরিয়ে আনার জন্যে। তবে শুধুমাত্র পুরুষরা নয়, মহিলারাও এই দিকে পিছিয়ে নেই। সুস্থ থাকার দৌড়ে সবাই সামিল।

মেশিনগুলির বড় আকার এবং দামের কারণে সবার বাড়িতে মেশিন রাখা সম্ভব নয়। তাই ভরসা জিম বা ফিটনেস সেন্টার, যেখানে মাসে বা বছরে কিছু পেমেন্ট করলে সব সুবিধা পাওয়া যায়। আর মোটামুটি সব ফিটনেস সেন্টারগুলিতেই মেন্টর বা গাইড থাকে কাস্টমারদের প্রয়োজন মতো গাইড করার জন্যে। তাই একজন নতুন কাস্টমারেরও অসুবিধা হয় না।

তুমি যদি জিম বা ফিটনেস সেন্টার খোলার কথা ভাবো, নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রশংসাসূচক প্রচেষ্টা হবে। সাধারণত একটি বড়ো জায়গা এবং মেশিনগুলি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকলে জিম সেন্টার খোলা যায়। তবে শুধুমাত্র মেশিন রাখার সাথে সাথে ফিটনেস থেরাপি, মেডিটেশন ব্যবস্থা, যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হলে তখনই সেটা ফিটনেস সেন্টারের উপাধি পেতে পারে।

প্রথমে কোথায় এই সেন্টারটি করবে, তার প্ল্যানিং করতে হবে। তোমার বাড়িতে যথেষ্ট জায়গা থাকলে সেখানেও শুরু করতে পারো, নাহলে কোনো জায়গা ভাড়া নিতে পারো। জনসমাগম বেশি এমন জায়গায় স্থায়ীভাবে সেন্টার খোলার কথা ভাবতে পারো। ২০ ফুট বাই ২০ ফুট একটি জায়গা হলে ফিটনেস সেন্টার খোলার জন্য উপযুক্ত। একটি বড়ো ঘরের ব্যবস্থা না হলে দুটি ঘর একসাথে করে ব্যবসা শুরু করতে পারো।

প্রথমেই তোমার দোকানের জন্যে একটি যথার্থ নাম ঠিক করতে হবে। নামটি মার্কেটিং করতে সাহায্য করে। হোর্ডিং দিয়ে সবাইকে দোকান সম্পর্কে জানাতে পারো। জিমের নিয়মকানুন ও আচরণবিধি সম্পর্কে ক্লায়েন্টদের সচেতন করে তোলা দরকার।

যখন তোমার কাছে অনভিজ্ঞ কেউ আসবে, তোমাকে তার চাহিদা বুঝতে হবে এবং তার টাইম ম্যানেজমেন্ট, ফিটনেস ইকুইপমেন্ট সেট করতে হবে। সেন্টারটি পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে হবে। প্রত্যেককে তাদের নিজস্ব পোশাক, ফিটনেস জুতা, তোয়ালে সাথে রাখার পরামর্শ দিতে হবে।

একজন ফিটনেস গাইড হিসেবে তোমাকেও ভালো ফিজিক থাকতে হবে। তোমার মেন্টাল স্ট্রেন্থ যথেষ্ট শক্তিশালী হতে হবে। তোমাকে সেন্টারের সমস্ত ইকুইপমেন্টের দিকে যত্নবান হতে হবে।

একটি জিম বা ফিটনেস সেন্টারের মেশিনপত্র এবং সব কিছু সাজাতে সাধারণত ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার দরকার হয়। ব্যক্তিগত পুঁজির জোগাড় করতে সমস্যা হলে মূলধন সংগ্রহের জন্য নিকট আত্মীয়-স্বজন, ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও)-এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ফিটনেস সেন্টারের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।
  • শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ফিটনেস সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ।
  • ফিটনেস সেন্টারে আধুনিক মেশিন ও প্রশিক্ষক থাকে।
  • জিম খোলার জন্য যথেষ্ট জায়গা, মেশিন, ও মূলধন প্রয়োজন।
  • সফল জিমের জন্য ভালো নাম, মার্কেটিং, ও ক্লায়েন্ট পরিচালনা দরকার।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ফিটনেস সেন্টার

২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানীর একটি ফিটনেস সেন্টারে সোহেল তাজের বাগদান অনুষ্ঠিত হয়।