জিম

আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:৪৬ পিএম

জিম: সুস্থতায় অগ্রযাত্রার সহচর, কিন্তু সতর্কতা অপরিহার্য

শরীরচর্চার সঠিক কৌশলের মাধ্যমে সুঠাম দেহ গঠনের ক্ষেত্রে জিমে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়, এবং স্বাভাবিকভাবেই কিছু সতর্কতার প্রশ্ন উঠে আসে। কেননা, শরীর গঠনের পাশাপাশি জিমের উপকরণগুলির সঠিক ব্যবহার না জানলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

জিম করার সময় কি ধরণের বিপদ হতে পারে এবং সেগুলো এড়িয়ে চলার উপায় জানা জরুরী। চলুন জিম করার সময়কে আশঙ্কামুক্ত করতে আগেভাগেই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি জেনে নেওয়া যাক।

জিমের ঝুঁকি ও প্রতিকার:

১. জিমের উপকরণে ত্রুটি: জিমে নানা ধরণের যন্ত্রপাতি থাকে। নতুন সদস্যদের জন্য বড় ও ভারী যন্ত্রপাতি বিপদজনক হতে পারে। ভুল ব্যবহার গুরুতর দুর্ঘটনা ডেকে আনতে পারে।

প্রতিকার: প্রতিবার জিমে যাওয়ার আগে সকল উপকরণ পরীক্ষা করে দেখুন। কোন ত্রুটি দেখলে জিম কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে জানান। সঠিক ব্যবহারের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন এবং প্রয়োজনে জিম কর্তৃপক্ষের সাহায্য নিন।

২. অনুপযুক্ত শরীরচর্চা ও কৌশল: সাধ্যাতীত অনুশীলন বা ভুল কৌশল গুরুতর আঘাতের কারণ হতে পারে।

প্রতিকার: ভালো একটি জিম ও দক্ষ প্রশিক্ষক বেছে নিন। প্রশিক্ষকের নির্দেশনা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং বুঝে তারপর অনুশীলন শুরু করুন। প্রথমে হালকা ও সহজ অনুশীলনে গুরুত্ব দিন।

৩. অতিরিক্ত চাপে মচকে যাওয়া: অনুশীলনের সময় হঠাৎ অতিরিক্ত চাপ পড়লে হাত-পা মচকে যেতে পারে।

প্রতিকার: নিজের শারীরিক সীমারেখা জেনে কাজ করুন। তীব্র কসরতের মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিন এবং ধীরে ধীরে অগ্রসর হন।

৪. পিছলে বা পড়ে যাওয়া: ভেজা মেঝে, বিক্ষিপ্ত সরঞ্জাম এবং অনুপযুক্ত জুতা পিছলে পড়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

প্রতিকার: চলাচলের সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন। জিমের পরিচ্ছন্নতা ও সরঞ্জামের সুন্দর ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। উপযুক্ত গ্রিপযুক্ত জুতা পরুন।

৫. অতিরিক্ত পরিশ্রম ও ক্লান্তি: লক্ষ্য পূরণে মরিয়া হয়ে অনেকেই সাধ্যাতীত অনুশীলন করে ক্লান্তি ডেকে আনে।

প্রতিকার: চ্যালেঞ্জ ও সক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য রাখুন। ক্লান্তি অনুভব করলে বিশ্রাম নিন। পর্যাপ্ত ঘুম, পুষ্টি ও পানি পান করুন।

৬. অতিরিক্ত সংকোচন বা প্রসারণে পেশি ছিঁড়ে যাওয়া: পেশীকে অতিরিক্ত চাপ দিলে ছিঁড়ে যেতে পারে।

প্রতিকার: প্রতি অনুশীলনের আগে ওয়ার্ম-আপ করুন। ওয়ার্কআউটে ধীরে ধীরে তীব্রতা বাড়ান এবং সঠিক কৌশল মেনে চলুন।

৭. অপর্যাপ্ত তত্ত্বাবধান বা নির্দেশিকা: সঠিক নির্দেশনা ছাড়া জিম যন্ত্রপাতির অপব্যবহার গুরুতর হতে পারে।

প্রতিকার: প্রত্যয়িত ও দক্ষ প্রশিক্ষকের কাছ থেকে নির্দেশনা নিন এবং তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।

৮. পানির স্বল্পতা ও তাপ-জনিত অসুস্থতা: তীব্র ওয়ার্কআউটে পানি স্বল্পতা হিটস্ট্রোক ডেকে আনতে পারে।

প্রতিকার: ব্যায়ামের আগে, সময় ও পরে পানি পান করুন। ক্লান্তি অনুভব করলে বিশ্রাম নিন। ঠান্ডা পরিবেশে ওয়ার্কআউট করুন।

৯. ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া: ত্রুটিপূর্ণ তার, ক্ষতিগ্রস্ত কর্ড বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঝুঁকি বাড়ায়।

প্রতিকার: সকল ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম নিয়মিত পরীক্ষা করুন। ত্রুটি দেখলে জিম কর্তৃপক্ষকে জানান।

১০. শরীরচর্চায় অন্য কারো সঙ্গে সংঘর্ষ: ব্যস্ত সময়ে অন্যদের সাথে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা থাকে।

প্রতিকার: অন্যদের সাথে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন এবং জিমের শিষ্টাচার মেনে চলুন।

সতর্কতা জিম করার সময় এই সব বিষয়গুলির প্রতি লক্ষ্য রাখলে আপনি সুন্দর একটি ফিটনেস যাত্রা সম্পন্ন করতে পারবেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • জিমে শরীরচর্চা করার সময় বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি রয়েছে।
  • যন্ত্রপাতির ত্রুটি, অনুপযুক্ত অনুশীলন, অতিরিক্ত চাপ, পিছলে পড়া, ক্লান্তি ইত্যাদি ঝুঁকি এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
  • দক্ষ প্রশিক্ষকের পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুসরণ করা জরুরী।
  • শারীরিক সীমারেখা জেনে কাজ করা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পানি পান নিশ্চিত করা উচিত।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - জিম

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

জিম খাতুন পুকুরে গোসল করার সময় ডুবে গুরুতর আহত হন।

জিম পুকুরে গোসল করার সময় ডুবে গুরুতর অসুস্থ হয়।