ফতেয়াবাদ নামটি দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়, যার ফলে কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। একটি হল ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের একটি জেলা, আর অন্যটি হল ঐতিহাসিক চট্টগ্রামের একটি পুরনো নাম।
হরিয়ানা'র ফতেহাবাদ:
১৯৯৭ সালের ১৫ই জুলাই হিশার জেলা থেকে পৃথক হয়ে ফতেহাবাদ জেলা গঠিত হয়। এই জেলা উত্তরে পাঞ্জাব, পূর্বে জিন্দ ও কৈথাল, দক্ষিণে হিশার ও রাজস্থান এবং পশ্চিমে সিরসা জেলা দিয়ে বেষ্টিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর গড় উচ্চতা ২০৮ মিটার। জেলার আয়তন ২৫৫০ বর্গকিলোমিটার। ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১৬.৭৯%। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, জনসংখ্যা ছিল ৯৪১,৫২২, যা স্বাধীন ফিজির জনসংখ্যার সমান। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩৭১ জন। জেলার লিঙ্গানুপাত ১০০০ পুরুষে ৯০৩ নারী, এবং সাক্ষরতার হার ৬৯.১%। জনসংখ্যার অধিকাংশ হিন্দি এবং পাঞ্জাবি ভাষাভাষী। জেলাটি তিনটি তহসিলে বিভক্ত: ফতেহাবাদ, রাতিয়া ও তোহানা।
ঐতিহাসিক ফতেয়াবাদ (চট্টগ্রাম):
গৌড়ের সুলতান হোসেন শাহ এর আমলে, ১৫১৫ খ্রিষ্টাব্দের প্রথমার্ধে, আরাকান রাজ্য গৌড় অধিকৃত চট্টগ্রাম দখল করে। চট্টগ্রাম পুনরুদ্ধারের পর সুলতান হোসেন শাহ তার পুত্র যুবরাজ নশরত শাহকে এই অভিযানে পাঠান। নশরত শাহ চট্টগ্রাম পুনরুদ্ধার করে এর নাম রাখেন 'ফতেয়াবাদ'। আধুনিক চট্টগ্রাম শহর থেকে ৮ মাইল উত্তরে তিনি এই নতুন রাজধানী স্থাপন করেন। এই ঐতিহাসিক ফতেয়াবাদে দিঘি, প্রাসাদ ও মসজিদ ছিল বলে ঐতিহাসিক লেখায় উল্লেখ আছে। হোসেন শাহী বংশের পতনের পর ফতেয়াবাদ ধ্বংস হয়ে যায়।
উভয় ফতেয়াবাদের মধ্যে স্থান, সময়কাল এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের বিরাট পার্থক্য রয়েছে। যেহেতু ফতেয়াবাদ নামটি দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়, তাই প্রসঙ্গ বুঝে ব্যবহার করা জরুরী।