পাগলা থানা পুলিশ: একটি বিশ্লেষণ
ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার অন্তর্গত পাগলা থানা পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের একটি অংশ। ২০১২ সালের ২৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে এর প্রতিষ্ঠা অনুমোদিত হয় এবং ২৩ মে এই থানার যাত্রা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ৩১ মার্চ গফরগাঁও সরকারি কলেজ মাঠে এক জনসভায় এই থানা প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর পাগলা থানা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়।
পাগলা থানা গফরগাঁও উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড দেখভাল করে। এই থানার উত্তরে ত্রিশাল ও নান্দাইল উপজেলা, দক্ষিণে গাজীপুরের শ্রীপুর ও কাপাসিয়া উপজেলা, পশ্চিমে ভালুকা উপজেলা এবং পূর্বে ময়মনসিংহের নান্দাইল ও কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলা অবস্থিত। ময়মনসিংহ জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব ৫৪ কিমি, গফরগাঁও উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিমি এবং ঢাকা থেকে ৭৮ কিমি। যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রধানত সড়কপথ নির্ভর। মশাখালী রেলওয়ে স্টেশন এখানকার একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল যোগাযোগ কেন্দ্র।
পাগলা থানাধীন এলাকা প্রধানত কৃষিপ্রধান। ধান, পাট, গম, ডাল ইত্যাদি ফসল এখানে উৎপাদিত হয়। এছাড়াও জারি, সারি, বাউল ও কেচ্ছাগানের সংস্কৃতি এখানে চর্চা করা হয়। পালা গান এবং মঞ্চ নাটকের জন্য এই এলাকা বিখ্যাত। ব্রহ্মপুত্র, কালীবাঁধা এবং সুতিয়া নদী এই থানার সীমানা সংলগ্ন।
২০২৪ সালের অক্টোবরে এখানে অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে একটি ঘটনা ঘটে যেখানে এলাকাবাসী এবং বালু উত্তোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় পাগলা থানা পুলিশের ভূমিকা ও তদন্ত অব্যাহত থাকে। এই ধরনের ঘটনাবলী এই থানার কাজের ক্ষেত্র ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে প্রতিফলিত করে। অধিক তথ্য প্রাপ্তির অপেক্ষায় আছি, যাতে আরও বিস্তারিত উপস্থাপন করা যায়।