পাগলা থানা

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:১৩ পিএম

পাগলা থানা: একটি বিশদ পর্যালোচনা

পাগলা থানা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার অন্তর্গত একটি থানা। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই থানা গফরগাঁও উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। ২০১১ সালের ৩১শে মার্চ গফরগাঁও সরকারি কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাগলা থানা প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন, যার ফলে ২০১২ সালের ২৫শে এপ্রিল রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাগলা থানা অনুমোদনের গেজেট প্রকাশ করে। এই থানার ভবনটি ২০১৬ সালের ২রা নভেম্বর নির্মিত হয়।

ভৌগোলিক অবস্থান ও যোগাযোগ:

ময়মনসিংহ জেলা সদর থেকে ৫৪ কিমি দক্ষিণে, গফরগাঁও উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিমি দক্ষিণে এবং ঢাকা থেকে ৭৮ কিমি উত্তরে অবস্থিত পাগলা থানা। গফরগাঁও-মাওনা সড়ক এ থানার প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম। মশাখালী ইউনিয়নে অবস্থিত মশাখালী রেলওয়ে স্টেশন এবং গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন এলাকার লোকজনের যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাগলা থানার তিন দিক ব্রহ্মপুত্র, কালীবাড়ী ও সুতিয়া নদী দ্বারা বেষ্টিত।

অর্থনৈতিক কার্যক্রম:

পাগলা থানাধীন ইউনিয়নগুলো প্রধানত কৃষিপ্রধান। ধান, পাট, গম, ডাল, ভুট্টা, মসুর ইত্যাদি ফসল এখানে উৎপাদিত হয়।

সাংস্কৃতিক গুরুত্ব:

জারি, সারি, বাউল ও কেচ্ছাগানের নিয়মিত চর্চা পাগলা থানা এলাকায় দেখা যায়। পালাগান ও মঞ্চনাটকের জন্য এলাকাটি বিখ্যাত।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস (প্রাথমিক তথ্য):

মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাগলা থানা স্বতন্ত্র কোন পরিচয় ছিল না। গফরগাঁও থানাধীন একটি ছোট গ্রাম্য বাজার হিসেবে এটি পরিচিত ছিল। তবে এ অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। এই অঞ্চলে অনেক মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল এবং মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। বিস্তারিত ইতিহাসের জন্য অধিক তথ্য সংগ্রহের পর আমরা পরে আপডেট করব।

উপসংহার:

পাগলা থানা গফরগাঁও উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ইউনিট। কৃষি, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের দিক থেকে এটি সমৃদ্ধ। এর উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

মূল তথ্যাবলী:

  • পাগলা থানা ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • এটি গফরগাঁও উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
  • ময়মনসিংহ জেলা সদর থেকে ৫৪ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত।
  • প্রধানত কৃষিপ্রধান এলাকা।
  • জারি, সারি, বাউল ও কেচ্ছাগানের জন্য বিখ্যাত।
  • মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - পাগলা থানা