বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিন সম্প্রতি দেশের আলোচনায় এসেছেন, তবে দুঃখজনক কারণে। স্কুলের এক ছাত্রীর মায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে। এ ঘটনার পর তাঁকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
রুবাইয়া ইয়াসমিনের প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে, তিনি বগুড়ার অদম্য মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। কালের পাড়া বি এল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে এসএসসি এবং বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে ২০১৭ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ভবিষ্যতে জুডিসিয়াল সার্ভিসে যোগদানের স্বপ্ন দেখতেন। তার বড় ভাই, আরিফুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে পড়ালেখা শেষ করেছেন এবং বর্তমানে একটি সরকারি কলেজে পড়াচ্ছেন।
তবে, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনার পর তিনি জনসম্মুখে সমালোচনার মুখে পড়েন। একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তিনি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে আনেন এবং এক শিক্ষার্থীর মাকে তাঁর পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি নিজের বক্তব্যে দাবি করেছেন যে, তার মেয়ে বুলিং-এর শিকার হয়েছে এবং তিনি মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হয়েছেন। এই ঘটনায় তিনি বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত আছেন। ঘটনার বিস্তারিত ও রুবাইয়া ইয়াসমিনের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আরও তথ্য জানার পর আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।