পররাষ্ট্রনীতি

পররাষ্ট্রনীতি: বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের রূপরেখা

পররাষ্ট্রনীতি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনার নীতিমালা, যার মাধ্যমে দেশ তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে, অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার অবস্থান তৈরি করে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি তার ভৌগোলিক অবস্থান, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং জাতীয় স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। প্রথম দিকে, স্বাধীনতার সংগ্রামে ভারতের সহযোগিতা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি সহানুভূতির প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। পরবর্তী সময়ে, জাতীয় পার্টির আমলে পশ্চিমা দেশ এবং মুসলিম বিশ্বের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করা হয়। আওয়ামী লীগের আমলে অর্থনৈতিক কূটনীতির উপর জোর দেওয়া হয় এবং ভারতের সাথে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতিগুলো হলো:

  • সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে শত্রুতা নয়।
  • অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান।
  • অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা।
  • বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতি।

বাংলাদেশ জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ওআইসি, সার্ক, বিমস্টেকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির সফলতা ও চ্যালেঞ্জের বিষয় পর্যালোচনা করে, ভবিষ্যতে আরও কার্যকর ও গতিশীল পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।

মুখ্য ব্যক্তিবর্গ:

  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • জিয়াউর রহমান
  • হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ
  • খালেদা জিয়া
  • শেখ হাসিনা
  • তাজউদ্দিন আহমদ

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য হলো জাতীয় স্বার্থ রক্ষা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করা।
  • স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পররাষ্ট্রনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
  • বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে শত্রুতা নয়’ নীতিকে অনুসরণ করে।
  • বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সক্রিয় সদস্য।
  • ভবিষ্যতে পরিবর্তিত বিশ্বে বাংলাদেশকে নতুন কৌশল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।