নিম্নচাপ: বাংলাদেশের আবহাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক
বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় দেশে নিম্নচাপ একটি পরিচিত ঘটনা। চারপাশের তুলনায় বায়ুর চাপ কম থাকলে তাকে নিম্নচাপ বলে। এটি ঘূর্ণিঝড়ের মতো আবদ্ধ নিম্নচাপ অথবা উন্মুক্ত ভি-আকৃতির নিম্নচাপপূর্ণ বায়ুমন্ডলীয় খাদ হতে পারে। সাধারণত ভারত মহাসাগরের গভীর এলাকা বা বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের সময়ে এটি উৎপন্ন হয়।
নিম্নচাপের প্রভাব:
এই নিম্নচাপের ফলে বাংলাদেশসহ আশপাশের অঞ্চলে ৭ থেকে ১০ দিন অবিরত ভারি বর্ষণ হয়। কখনো কখনো সিলেট ও কক্সবাজারে ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এই বৃষ্টিপাত পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধ্বস ও নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যা সৃষ্টি করতে পারে। কৃষিক্ষেত্রেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অন্যদিকে, বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে জলাধার পূর্ণ হয় এবং খরা পরিস্থিতি কিছুটা মোকাবেলা করা সম্ভব হয়।
ঐতিহাসিক দিক:
বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেক প্রবল নিম্নচাপের কথা জানা যায় যা বিধ্বংসী বন্যা ও প্রাণহানির কারণ হয়েছে। এই ঘটনাগুলো আবহাওয়াবিদদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে। এই তথ্য বিশ্লেষণ করে আগাম সতর্কতা প্রদান করা সম্ভব হয়, যা প্রাণহানি এবং সম্পদের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে।
উপসংহার:
নিম্নচাপ বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আবহাওয়ার ঘটনা। এর ভবিষ্যদ্বাণী এবং প্রভাব মোকাবেলা জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সতর্কতা ও প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরী। আবহাওয়া বিষয়ক জ্ঞান বৃদ্ধি এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এই প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। [মো. শামসুল আলম]