নাসির হাওলাদার নামে একাধিক ব্যক্তির উল্লেখ পাওয়া গেছে। প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, দুটি ভিন্ন ঘটনার সাথে তাদের জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে।
প্রথম ঘটনা: বরগুনার পাথরঘাটায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যোগদানের পর ফেরার পথে ৩৮ বছর বয়সী নাসির হাওলাদার নামে এক যুবদল নেতাকে পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়। এই নাসির হাওলাদার পাথরঘাটা পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে এবং ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য ছিলেন। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা তিনটি বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে এবং উপজেলা শিবিরের সভাপতি রাকিব হাসানকে মারধর করে। ঘটনায় রাব্বি, ইব্রাহিম, এবং হাসান নামে তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এরা কালমেঘা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং আগে ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত থাকলেও পরে জামায়াত-শিবিরে যোগদান করেছিল।
দ্বিতীয় ঘটনা: মাদারীপুরে এক মালয়েশিয়া প্রবাসী নাসির হাওলাদারের স্ত্রী তানিয়া আক্তার ৩২ লাখ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে তাদের ৯ বছর বয়সী ছেলেকে সাথে নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রবাসী নাসির হাওলাদার দীর্ঘদিন প্রবাসে কাজ করে এসেছেন এবং স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছেন। দেশে ফিরে টাকা ফেরত চাইতে গেলে স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হয় এবং এই ঘটনা ঘটে। তিনি এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুই নাসির হাওলাদারের মধ্যে পার্থক্য বোঝা গেলেও তাদের সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে আপনাদের অবহিত করব।