দুর্নীতি দমন

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:০৮ পিএম

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুর্নীতি দমনে কার্যকর একটি স্বাধীন সংস্থা। ২০০৪ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারী দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ অনুসারে এটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ৯ই মে, ২০০৪ সালে কার্যকর হয়। এর আগে দুর্নীতি দমন ব্যুরো ছিল, যার ব্যর্থতার ফলে জনঅসন্তোষের জন্ম হয় এবং স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি জোরদার হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ২০০৪ সালে সংসদ সংশ্লিষ্ট আইন অনুমোদন করে, এবং দুর্নীতি দমন ব্যুরো বিলুপ্ত হয়।

দুদক আইনে ৩৩টি ধারা ও একটি তফসিল রয়েছে। এতে কমিশনের গঠন, কার্যক্রম, ক্ষমতা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, সদস্য নিয়োগ ও অপসারণ, পদত্যাগ ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ রয়েছে। কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে বলে আইনে উল্লেখ আছে। কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগের জন্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিটি রয়েছে।

কমিশন সরকার ও সরকারি কর্তৃপক্ষ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে, এবং প্রয়োজনীয় তথ্য না পেলে নিজেই তদন্ত শুরু করতে পারে। মিথ্যা বা ভিত্তিহীন সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। জাতীয় আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের জন্য ১০ বছর কারাদন্ড ও সম্পদ বাজেয়াপ্তের বিধান আছে।

কমিশন গঠনের পর থেকেই জনসমালোচনা শুরু হয়, যার প্রধান কারণ ছিল সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধ এবং সরকারের প্রয়োজনীয় সহায়তা না দেওয়া। দুদক কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে অনেক রিট করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত। এছাড়াও দেশের আটটি বিভাগে বিভাগীয় কার্যালয় এবং ৩৬টি সমন্বিত জেলা কার্যালয় রয়েছে। বর্তমানে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০০৪ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রতিষ্ঠা
  • দুদকের স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা এবং কার্যক্রম
  • দুর্নীতির তদন্ত ও মামলা দায়েরের ক্ষমতা
  • সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণ ও শাস্তির বিধান
  • জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা
  • বিভিন্ন স্তরে কার্যালয়

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - দুর্নীতি দমন

২ জানুয়ারি ২০২৫

দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন দুর্নীতি দমনের জন্য কাজ করছে।