রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের দিয়াড় মানিকচক ও আষাড়িয়াদহ মৌজা দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেখানে সম্প্রতি জমি জরিপের বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এই দুটি মৌজার মানুষের দাবি, ২০০৯ সালেও জমি জরিপের সময় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কারসাজির ফলে অনেকের জমি অন্যের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি দিয়ারা সেটেলমেন্টের নামে নতুন জরিপের নোটিশ জারির পর এলাকাবাসী আবারও একই ধরনের অনিয়মের আশঙ্কায় আছেন।
তাদের অভিযোগ, চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ও মো. সানাউল্লাহসহ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি একটি চক্র গঠন করে জরিপের সুযোগে খাসজমি ও সাধারণ কৃষকের জমি নিজেদের নামে করে নেয়ার চেষ্টা করেন। এই অভিযোগের সাথে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম, তোজাম্মেল হক, সাবেক ইউপি সদস্য কবির হোসেন, বারীনগরের কানা ফজলু, আমতলা খাসমহলের জহির উদ্দিন, মজিবর রহমান, ট্যাকপাড়ার সাইদুল ইসলাম ও আমতলার হুমায়ন কবির।
এলাকাবাসী ১০ ডিসেম্বর দিয়ারা জরিপ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করে এবং ২ ডিসেম্বর ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন জমা দেন। তাদের দাবি, এই চর কখনও ভাঙেনি, তাই দিয়ারা সেটেলমেন্টের প্রয়োজন নেই। তারা জোনাল সেটেলমেন্ট জরিপের দাবি জানিয়েছেন।
দিয়ারা সেটেলমেন্ট অপারেশন, রাজশাহীর চার্জ অফিসার সলিল কিশোর চাকমা জানিয়েছেন স্থানীয়দের আপত্তি থাকলে জরিপ করা সম্ভব হবে না এবং এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তিনি আরও জানান, এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে জরিপ হচ্ছে, তাই আগের মতো অনিয়ম হবে না। তবে এলাকাবাসীর আতঙ্ক ও সন্দেহ দূর হয়নি। আগামী দিনগুলিতে এই বিষয়টির পরিণতি সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া গেলে আমরা আপনাদের অবহিত করব।