দক্ষিণ কোরিয়া, কোরীয় উপদ্বীপের দক্ষিণাংশ নিয়ে গঠিত একটি রাষ্ট্র। এর সরকারি নাম কোরীয় প্রজাতন্ত্র (কোরীয়: 대한민국, দে-হান্-মিন্-গুক্)। দেশটির উত্তরে উত্তর কোরিয়া, পূর্বে পূর্বসমুদ্র, দক্ষিণে ও দক্ষিণ-পূর্বে কোরিয়া প্রণালী (জাপান থেকে পৃথক করে) এবং পশ্চিমে পীত সাগর। সিউল হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, কোরীয় উপদ্বীপের উত্তরাংশ সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং দক্ষিণাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দখলে নেয়। ১৯৪৮ সালে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া রাষ্ট্রদ্বয়ের আবির্ভাব ঘটে। ১৯৫০-১৯৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের পর ধ্বংসপ্রায় দক্ষিণ কোরিয়া, ১৯৯৩ সালে এসে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির একটিতে পরিণত হয় এবং 'এশিয়ান চার ড্রাগন' হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসনিক ব্যবস্থা একটি প্রধানমন্ত্রীশাসিত বহুদলীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান এবং নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যস্ত। আইন প্রণয়ন ক্ষমতা সরকার এবং আইনসভা উভয়ের উপর ন্যস্ত। বিচার বিভাগ নির্বাহী ও আইন প্রণয়ন বিভাগ থেকে স্বাধীন। ১৯৪৮ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধানে পাঁচটি বড় সংশোধনী আনা হয়েছে। বর্তমান প্রজাতন্ত্রটি ১৯৮৮ সালের সংবিধান সংশোধনীর পরে বহাল রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ৫ বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। ইউন-সক ইয়ল ২০২২ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৪ সালে তাঁকে অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তারপর হান ডাক সু রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী (কোরীয়: 국무총리) হলেন সরকারের উপপ্রধান এবং দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পদ। প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেন, তবে জাতীয় পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হলেন হান ডাক সু, যিনি ২০ মে ২০২২ তারিখে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, মন্ত্রণালয় ও সংস্থা রয়েছে যারা দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের দায়িত্ব পালন করে। আরো বিস্তারিত তথ্যের জন্য, দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইট দেখুন।