ডুমুরিয়া উপজেলা

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:১২ এএম
নামান্তরে:
Dumuria Upazila
ডুমুরিয়া উপজেলা

খুলনা জেলার একটি প্রশাসনিক উপজেলা হল ডুমুরিয়া। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই উপজেলাটি খুলনা বিভাগের অন্তর্গত। ৪৫৪.২৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ডুমুরিয়া উপজেলা খুলনা জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা। এটি ২২°৩৯´ থেকে ২২°৫৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°১৫´ থেকে ৮৯°৩২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।

ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা:

উত্তরে যশোর জেলার মণিরামপুর, অভয়নগর ও ফুলতলা উপজেলা; দক্ষিণে বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা উপজেলা; পূর্বে খানজাহান আলী, খালিশপুর ও সোনাডাঙ্গা থানা এবং বটিয়াঘাটা উপজেলা এবং পশ্চিমে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা, যশোর জেলার অভয়নগর, মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা। প্রধান নদী হিসেবে শিবসা ও সিংড়াইল এবং প্রধান বিল হিসেবে বিল ডাকাতিয়া উল্লেখযোগ্য।

ঐতিহাসিক তথ্য:

ডুমুরিয়ার ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন। ধারণা করা হয় এ অঞ্চলটি পুন্ড্রের অপভ্রংশ। পুন্ড্র যুগে এখানে বাগাদি ও বাছাড় নামে দুটি প্রধান জাতি বাস করত। ঐতিহাসিক সতীশ চন্দ্র মিত্রের মতে, দশম শতকে এ অঞ্চল ভারত রাজার অধীনে ছিল। মধ্যযুগে আলাউদ্দিন শাহ এবং হযরত শেখ আফজালের মাধ্যমে পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি এখানে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ সালে তেভাগা আন্দোলন এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সংঘটিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর অত্যাচারে চুকনগর গণহত্যা, কালীতলাপাড়া ও শলুয়া বাজারে যুদ্ধের মতো ঘটনা ঘটে। ১৯৭১ সালের ২০ মে চুকনগর গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

জনসংখ্যা ও অর্থনীতি:

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ডুমুরিয়ার জনসংখ্যা ছিল ৩,০৫,৬৭৫। চিংড়ি চাষ এখানকার প্রধান জীবিকা। ঘেরে গলদা, বাগদা, হরিণা চিংড়ি চাষ হয় এবং শীতকালীন সবজি, টমেটো, আলু ইত্যাদি উৎপাদন হয়। কুটির শিল্প, যেমন কুমোরের কাজ, মাছ ধরা এবং জাল বোনাও এখানে বিদ্যমান।

প্রশাসন:

থানা গঠিত হয় ২৫শে মার্চ, ১৯১৮ এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়।

উল্লেখযোগ্য স্থান:

চেঁচুরি নীলকুঠি, চুকনগর নীলকুঠি, মধুগ্রাম ডাকবাংলো, আরশনগর মসজিদ, ডুমুরিয়া কালী মন্দির, দেলভিটা দুর্গা মন্দির, তালতলা মঠ, প্রহ্লাদ আশ্রম।

এই তথ্যের ভিত্তিতে ডুমুরিয়া উপজেলা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত নিবন্ধ প্রস্তুত করা হয়েছে। আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে নিবন্ধটি আপডেট করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ডুমুরিয়া উপজেলা খুলনা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
  • ৪৫৪.২৩ বর্গকিলোমিটার আয়তন।
  • ২০১১ সালে জনসংখ্যা ৩,০৫,৬৭৫।
  • চিংড়ি চাষ প্রধান জীবিকা।
  • ১৯১৮ সালে থানা, ১৯৮৩ সালে উপজেলা হিসেবে গঠিত।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।