খুলনা মহানগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ থানা হল সোনাডাঙ্গা। ৮.৪২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই থানার অবস্থান ২২°৫০´ থেকে ২২°৫১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৩১´ থেকে ৮৯°৩৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে। উত্তরে খালিশপুর থানা, দক্ষিণ ও পূর্বে কোতোয়ালী থানা, এবং পশ্চিমে ডুমুরিয়া ও বাটিয়াঘাটা উপজেলা সোনাডাঙ্গা থানাকে ঘিরে রয়েছে।
২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, সোনাডাঙ্গার জনসংখ্যা ছিল ১৭২০৭৯, যার মধ্যে পুরুষ ৮৯৭৫৪ এবং মহিলা ৮২৩২৫। ধর্মীয়ভাবে, ১৫৭৫৭৭ জন মুসলিম, ১২৫৩০ জন হিন্দু, ১৯১৬ জন বৌদ্ধ, ২১ জন খ্রিস্টান এবং ৩৫ জন অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। ১৯৮৬ সালে সোনাডাঙ্গা থানার প্রতিষ্ঠা হয়।
শিক্ষার দিক থেকে, সোনাডাঙ্গার গড় শিক্ষার হার ৬৮.৯১%। পুরুষদের শিক্ষার হার ৭২.৩১% এবং মহিলাদের ৬৫.২১%। খুলনা মেডিকেল কলেজ, খুলনা কলেজিয়েট স্কুল, সোনাডাঙ্গা প্রি-ক্যাডেট স্কুল এবং পল্লী মঙ্গল হাইস্কুল এই থানার উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বায়তুন নূর জামে মসজিদ (নিউ মার্কেট), মদিনা মসজিদ, শিববাড়ি আদি মন্দির এবং ব্যাপ্টিস চার্চ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য দিক। আরো আছে দৈনিক অনির্বাণ, তথ্য এবং সাপ্তাহিক সমন্বয় সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী।
সোনাডাঙ্গার অর্থনীতি মূলত কৃষি, ব্যবসা, চাকরি ও পরিবহন ও যোগাযোগের উপর নির্ভরশীল। কৃষিক্ষেত্রে ধান, পাট, তিল, সরিষা ও শাকসবজি উৎপাদন হয়। উল্লেখযোগ্য শিল্প ও কলকারখানার মধ্যে টেক্সটাইল মিল ও ওয়েল্ডিং কারখানা রয়েছে। স্বর্ণশিল্প, মৃৎশিল্প, বাঁশ ও তাঁতশিল্প কুটিরশিল্পের উল্লেখযোগ্য দিক। নিরলা বাজার, গল্লামারী বাজার, বয়রা বাজার, নিউ মার্কেট ও ইস্টার্ন প্লাজা এই থানার উল্লেখযোগ্য হাটবাজার। বাংলাদেশ বেতার খুলনা, জাদুঘর, খুলনা ফায়ার সার্ভিস, এবং খুলনা বিমানবন্দর সোনাডাঙ্গার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ (গল্লামারী) এই থানার ইতিহাসের সাক্ষী। ব্র্যাক, আশা এবং প্রশিকা এই এলাকার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য এনজিও।