জেসমিন সুলতানা

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১:২২ এএম

নওগাঁয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-এর হেফাজতে মৃত্যুবরণকারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) ঘটনায় র‌্যাব তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী ছিলেন। গত ২২ মার্চ সকালে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব। ২৪ মার্চ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

র‌্যাবের দাবি, প্রতারণার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছিল। আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে স্বজনদের অভিযোগ, র‌্যাবের হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং হাইকোর্টও বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। র‌্যাবের তদন্ত কমিটির কাজ শুরু হয়েছে এবং তারা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে। এই ঘটনায় র‌্যাবের ১১ সদস্যকে তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হাইকোর্ট র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, যেমন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে সময় লাগবে বলে র‌্যাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এই ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এবং জনমতের প্রতিক্রিয়া উল্লেখযোগ্য। সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুতে র‌্যাবের ভূমিকা ও তার দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। আরও তথ্য পাওয়ার পর প্রতিবেদনটি আরও সম্প্রসারিত করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • নওগাঁয় র‌্যাবের হেফাজতে ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যু।
  • প্রতারণার অভিযোগে র‌্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয়।
  • স্বজনদের অভিযোগ, র‌্যাবের হেফাজতে নির্যাতনের কারণে মৃত্যু।
  • র‌্যাব তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
  • হাইকোর্ট ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র দেখতে চেয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।