ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক দুটি বাংলাদেশি জাহাজ: ঘটনা ও প্রতিক্রিয়া
গত ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ সোমবার দুপুরে ভারতীয় কোস্টগার্ড দুটি বাংলাদেশি মাছ ধরার জাহাজ আটক করে। এই জাহাজ দুটি হলো এফভি লায়লা-২ এবং এফভি মেঘনা-৫। ৭৮ জন নাবিক ও জেলে এই দুটি জাহাজে ছিলেন। ভারতীয় কোস্টগার্ডের দাবি, এই জাহাজ দুটি ভারতের জলসীমায় অনুমতি ছাড়া মাছ ধরছিল। বর্তমানে জাহাজ দুটি ভারতের উড়িশ্যা রাজ্যের জগৎসিংহপুর জেলার পারাদ্বীপে রাখা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চলছে বলে জানানো হয়েছে।
জাহাজের তথ্য:
- এফভি লায়লা-২: এস আর ফিশিং কোম্পানির অধীনে পরিচালিত। ৪২ জন নাবিক ছিলেন এই জাহাজে।
- এফভি মেঘনা-৫: সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের অধীনে পরিচালিত। ৩৬ জন নাবিক ছিলেন এই জাহাজে।
ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া:
চট্টগ্রামে জাহাজ মালিকদের অফিসে আটক নাবিকদের স্বজনরা ভিড় করেন এবং তাদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওয়াহেদ এবং এস আর ফিশিং-এর সিএফও মিন্টু সাহা ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। চট্টগ্রাম সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের পরিচালক (সমুদ্রিক) আবদুস ছাত্তার জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জাহাজ ও নাবিকদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
ভারতের দাবি:
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে বাংলাদেশি জাহাজ দুটি তাদের জলসীমায় অনুমতি ছাড়া মাছ ধরছিল। ভারতীয় কোস্টগার্ডের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এই ঘটনার ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও তথ্য:
এই ঘটনার ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই প্রতিবেদনটি আপডেট করব।