বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ছাত্ররা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণ আন্দোলনে তাদের অংশগ্রহণ সুস্পষ্ট। কিন্তু দুঃখের বিষয়, অনেক সময় ছাত্রদের রাজনৈতিক উত্তেজনার শিকার হতে হয়েছে, এমনকি হত্যার চেষ্টার মুখোমুখিও হতে হয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের কারণে ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাগুলির ফলে অনেক ছাত্র আহত, নিহত এবং নির্যাতিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৬৯ সালে ছাত্র আন্দোলনের সময়, আসাদ, মতিয়ুর, মিলন, আলমগীর, রুস্তম আলীসহ অনেক ছাত্র নিহত হন। আবার, সাম্প্রতিক বছরগুলোতেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বহু ছাত্র আহত এবং হত্যার চেষ্টার শিকার হয়েছেন।
এই হত্যাচেষ্টার ঘটনাগুলোতে কেবলমাত্র ছাত্ররা নয়, অন্যান্য সাধারণ মানুষও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। হামলাকারীদের সনাক্তকরণ ও দণ্ড প্রদানের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এছাড়াও ছাত্রদের রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে রক্ষা করার জন্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সুস্থ ও গঠনমূলক রাজনীতির সংস্কৃতি গড়ে তোলার মাধ্যমে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। আন্তরিকতার সাথে ছাত্রদের অধিকার রক্ষা করা, শিক্ষা ও উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদান করা, এবং তাদের ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়তা করা প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব।