খালিদ আব্দুল্লাহ

আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ পিএম

সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ (জন্ম: ১৯৪২ - মৃত্যু: ২০ মে ২০১৭) বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে অবস্থিত অপরাজেয় বাংলা স্থাপনার ভাস্কর হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। শিল্পকলা ও ভাস্কর্যে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৪ সালে তিনি শিল্পকলা পদক এবং ২০১৭ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।

সিলেটের কাজী-ইলিয়াসে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণকারী খালিদ ১৯৬৯ সালে ঢাকা আর্ট কলেজ (বর্তমান চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে চিত্রাঙ্কনে স্নাতক এবং ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিত্রাঙ্কন ও ভাস্কর্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ঢাকা আর্ট কলেজের ছাত্রাবস্থায় তিনি ছাত্র ইউনিয়নের ভিপি হিসেবে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে গণ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং মুক্তিযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করার পর ১৯৭২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর উদ্যোগে অপরাজেয় বাংলার ভাস্কর্য নির্মাণের দায়িত্ব পান। ১৯৭৩ সালে শুরু হওয়া এই ভাস্কর্যের কাজ ১৯৭৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর সম্পন্ন হয়। এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্রের সামনে ‘আবহমান বাংলা’ মুরাল, চাঁদপুরে ‘অঙ্গীকার’ স্মৃতিসৌধ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে টেরাকোটার ভাস্কর্য, ‘অঙ্কুর’, ‘ডলফিন’ এবং ‘মা ও শিশু’র মতো উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য ও চিত্রকর্ম তৈরি করেন।

তিনি ২০১২ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত থাকার পর ২০১৭ সালের ২০ মে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী।
  • তিনি অপরাজেয় বাংলার ভাস্কর হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।
  • তিনি শিল্পকলা পদক ও একুশে পদকে ভূষিত হন।
  • তিনি ১৯৪২ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০শে মে ২০১৭ সালে মারা যান।
  • তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - খালিদ আব্দুল্লাহ

খালিদ আব্দুল্লাহ গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে অবস্থিত ব্রিস্টল ফার্মা লিমিটেড নামক ওষুধ কারখানায় কর্মরত ছিলেন এবং রাসায়নিক বিস্ফোরণে দগ্ধ হন।

খালিদ আব্দুল্লাহ ওষুধ কারখানার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছেন।