খাগড়াছড়ির ইটভাটা মালিক সমিতির সমন্বয়ক মো. সেলিমের সাথে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানা গেছে যে, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ পাওয়া সত্ত্বেও, তারা ইটভাটা চালু করতে পারছে না। পরিবেশ সম্মত ইটভাটা তৈরির পরেও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং লাইসেন্স না পাওয়ার কারণে প্রশাসন তাদের ভাটা বন্ধ করে দিচ্ছে। এই সমস্যার কারণে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ১৫ টি ইটভাটা বন্ধ করেছে প্রশাসন। সোমবার সদর উপজেলা, দীঘিনালা, পানছড়ি, রামগড়, মানিকছড়ি ও গুইমারায় অভিযান চালানো হয়, যেখানে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সেলিম মনে করেন, পরিবেশ অধিদপ্তর দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ভাটার লাইসেন্স নবায়নে ছাড়পত্র দিচ্ছে না, যার ফলে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে আছে এবং প্রতিবছর আদালতের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, সরকার যদি ভাটা স্থাপনের প্রতি আন্তরিক না হয়, তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে। উপজেলা প্রশাসন, বন বিভাগ, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করছে। অনুমোদন ছাড়া চালু থাকা ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
খাগড়াছড়ির ইটভাটা মালিক সমিতি
মূল তথ্যাবলী:
- খাগড়াছড়িতে ১৫টি ইটভাটা বন্ধ
- ৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায়
- পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের অভাবে সমস্যা
- হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও ভাটা বন্ধ
- পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন কাজের উপর প্রভাব
গণমাধ্যমে - খাগড়াছড়ির ইটভাটা মালিক সমিতি
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
এই সংগঠনের ইটভাটাগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম
এই সংগঠনের সমন্বয়ক ইটভাটা বন্ধের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন।