কুমুদিনী হাজং (আনু. ১৯৩০ – ২৩ মার্চ ২০২৪) ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট হাজং বিপ্লবী ও আদিবাসী অধিকার কর্মী। ব্রিটিশ রাজের সময় টংক আন্দোলনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য তিনি সুপরিচিত ছিলেন। সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি ২০১৯ সালে তাঁকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।
আনুমানিক ১৯৩০ সালে তৎকালীন ময়মনসিংহের দুর্গাপুর উপজেলা (বর্তমান নেত্রকোণা) এর বহেরাতলী গ্রামে কৃষিজীবী হাজং পরিবারে কুমুদিনীর জন্ম। তাঁর পিতার নাম ছিল অতিথ চন্দ্র রায় হাজং এবং মাতার নাম জনুমনি হাজং। তিনি টংক আন্দোলনের অন্যতম নেতা লংকেশ্বর হাজংয়ের স্ত্রী ছিলেন। এই দম্পতির তিন ছেলে ও দুই মেয়ে ছিল।
১৯৩০ এর দশকে শুরু হওয়া টংক আন্দোলন হাজং সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিল। ১৯৪৬ সালে, ব্রিটিশ পুলিশ লংকেশ্বর হাজংকে না পেয়ে কুমুদিনী হাজংকে গ্রেপ্তার করার সময় রাসিমণি হাজং নেতৃত্বাধীন হাজংদের দলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে একজন পুলিশ নিহত হয় এবং পুলিশের গুলিতে রাসিমণি হাজং নিহত হন। এই ঘটনার পর কুমুদিনীও স্বামীর সাথে টংক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
২০২৪ সালের ২৩শে মার্চ নিজ গ্রাম বহেরাতলীতে কুমুদিনী হাজং মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর অবদান ও সংগ্রাম আদিবাসীদের অধিকার আন্দোলনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।