কুতুব উদ্দিন: একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা
কুতুব উদ্দিন নামটি একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত। এই লেখায়, আমরা কুতুব উদ্দিন নামের দুজন বিখ্যাত ব্যক্তির ওপর আলোকপাত করব:
১. মাওলানা কুতুব উদ্দিন:
মাওলানা কুতুব উদ্দিন ছিলেন বাংলাদেশের একজন সম্মানিত পীর, ইসলামি পন্ডিত, মুহাদ্দিস এবং আরবি ভাষাবিদ। তিনি ১৯৩৮ সালে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের সুফি মিয়াজি পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন এবং মাতার নাম রায়হানাহ বেগম। তিনি চুনতি হাকিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন এবং পরে দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসায় কামিল শ্রেণিতে ১ম স্থান অর্জন করে স্বর্ণপদক লাভ করেন।
তার কর্মজীবনে তিনি রসুলাবাদ সিনিয়র মাদ্রাসা, বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও তিনি পালন করেন। তিনি একজন কবি ও আবৃত্তিকার ছিলেন এবং ৮টি বই প্রকাশ করেন। ২০২০ সালের ২০ মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
২. কুতুব উদ্দিন আইবেক:
কুতুব উদ্দিন আইবেক ছিলেন মধ্যযুগীয় ভারতের একজন তুর্কি শাসক। তিনি দিল্লির প্রথম সুলতান এবং দিল্লি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা। ১২০৬ থেকে ১২১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি শাসন করেন। তার দানশীলতার জন্য তাকে ‘লাখবখশ’ বলা হত। তার জন্মস্থান অজানা। শিশুকালেই তাকে দাস হিসেবে বিক্রি করা হয় এবং পরে মুহাম্মদ ঘোরির দাসত্ব থেকে মুক্ত হন। মুহাম্মদ ঘোরির মৃত্যুর পর কুতুব উদ্দিন আইবেক দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি দিল্লীর কুতুব মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১২১০ সালে পোলো খেলার সময় ঘোড়া থেকে পড়ে মৃত্যুবরণ করেন।
উপসংহার:
উভয় কুতুব উদ্দিনই তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিখ্যাত। মাওলানা কুতুব উদ্দিনের অবদান ছিল ইসলামী শিক্ষা ও ধর্মীয় কাজে, অন্যদিকে কুতুব উদ্দিন আইবেকের অবদান ছিল ভারতের ইতিহাসে। বিভ্রান্তি এড়াতে, প্রয়োজনীয় পরিস্থিতিতে তাদের পূর্ণ নাম ও পরিচয় উল্লেখ করা উচিত।