কর্ণফুলী ও ডাঙারচর: একটি বহুমুখী দৃষ্টিভঙ্গি
চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী উপজেলার অন্তর্গত জুলধা ইউনিয়নের একটি গ্রাম হল ডাঙারচর। কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত এই গ্রামটির অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের সাথে জড়িত। প্রকৃতির কোলে অবস্থিত হলেও ডাঙারচরের উন্নয়ন ব্যাপকভাবে পিছিয়ে রয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকলেও উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব রয়েছে। যাতায়াত ব্যবস্থার অপ্রতুলতাও এখানকার মানুষের জীবনে চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।
ডাঙারচরের ইতিহাস:
১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড় ম্যারি এন এবং ২০০৭ সালে সুপার সাইক্লোন সিডরের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ডাঙারচরের জনগোষ্ঠীর উপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। হাজার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয় এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনার পর থেকেই পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও দ্রুত টেকসই বেঁড়িবাধের দাবি জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী।
ডাঙারচরের অর্থনীতি:
ডাঙারচরের অর্থনীতি মূলত কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। কৃষির পাশাপাশি, কিছু সংখ্যক মানুষ মাছ ধরা এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায় নিয়োজিত।
ডাঙারচরের সাম্প্রতিক ঘটনা:
২০২৪ সালের ১৫ এপ্রিল জুলধা ডাঙারচর খেয়াঘাটে স্থানীয় লোকজন এবং খাস কালেকশন আদায়কারীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এতে খেয়া পারাপার বন্ধ হয়ে যায় এবং সাধারণ যাত্রীরা বিপাকে পড়েন। এই ঘটনায় আবসার উদ্দিন নামে একজন বহিরাগত ব্যক্তি ঘাটে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) রাজস্ব শাখা ‘খাস কালেকশন’ আদায় করার কারণে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এছাড়াও, ২০২৩ সালে সল্টগোলা-ডাঙারচর ঘাট পরিচালনার বিষয় নিয়ে চসিকের একটি আদেশ বাতিল হওয়ার ঘটনাও উল্লেখযোগ্য।
উন্নয়নের দিক:
ডাঙারচরের উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মাণ, যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরী। এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও স্থানীয় সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।