পণ্ডিত বিরজু মহারাজ ত্রয়োদশ কথক নৃত্য উৎসব: ঐতিহ্যের ধারক ও বাহকদের সমারোহ
২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বর, ঢাকার ছায়ানট মিলনায়তন ও রবীন্দ্র সরোবরে (অনুমতি সাপেক্ষে) অনুষ্ঠিত হবে ‘পণ্ডিত বিরজু মহারাজ ত্রয়োদশ কথক নৃত্য উৎসব’। ‘কথক নৃত্য সম্প্রদায়’ আয়োজিত এই উৎসব তিন দিনব্যাপী নৃত্যের এক অসাধারণ সমাহার উপহার দেবে দর্শকদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
- *উৎসবের আয়োজন:** কথক নৃত্য সম্প্রদায়ের পরিচালক সাজু আহমেদ জানান, ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর ছায়ানট মিলনায়তনে এবং ২৬ ডিসেম্বর রবীন্দ্র সরোবরে (অনুমতি সাপেক্ষে, অন্যথায় টিএসসিতে) উৎসবের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে শুরু হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত শিল্পীরা তাদের নৃত্য প্রদর্শন করবেন। জাতীয় পর্যায়ের নৃত্য প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পাওয়া শিশু-কিশোর শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করবে। একজন নৃত্যগুণীকে ‘কথক নৃত্যগুরু জিনাত জাহান স্মৃতি সম্মাননা’ পদকে ভূষিত করা হবে।
- *কথক নৃত্যের বৈশিষ্ট্য:** কথক নৃত্য উত্তর ভারতের একটি ধ্রুপদী নৃত্যশৈলী, যাতে হিন্দু-মুসলিম উভয় সংস্কৃতির প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। দ্রুত পদচারণা, জটিল তাল, তবলার সঙ্গে সমন্বয়, ঘূর্ণি এবং নৃত্যকৌশলে অভিব্যক্তি এর মূল বৈশিষ্ট্য।
- *অনুষ্ঠানসূচী:** তিন দিনের উৎসবে বিভিন্ন শিল্পী ও প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য নৃত্য পরিবেশন করা হবে, যার মধ্যে ‘কথক নৃত্য সম্প্রদায়’, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, নটরাজ নৃত্যকলা কেন্দ্র (নোয়াখালী), নটরাজ নৃত্যাঙ্গন একাডেমি (চট্টগ্রাম), রেওয়াজ পারফরম্যান্স স্কুল, পরম্পরা নৃত্যালয়, মৌলভীবাজার ও পাবনার শিল্পীরা উল্লেখযোগ্য। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানসূচী বিস্তারিতভাবে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়েছে।
- *উৎসবের গুরুত্ব:** এই উৎসব কেবলমাত্র কথক নৃত্যের প্রদর্শন নয়, এটি একটি ঐতিহ্যের ধারক ও বাহকদের সমারোহ। এই অনুষ্ঠান এই নৃত্যশৈলীর প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি ও নতুন প্রজন্মের মধ্যে এর প্রচারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।