উত্তর পাহাড়তলী ও পাহাড়তলী: দুটি ভিন্ন সত্তা
প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, "উত্তর ঘুনিয়া পাহাড়তলী" একটি একক স্থান বা সত্তা বোঝায় না। উল্লেখযোগ্য দুটি স্থানের নামের সাথে পাহাড়তলী শব্দটির মিল রয়েছে, তবে সেগুলো ভিন্ন ভিন্ন:
১. উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড: এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের আয়তন ৬.৪১ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ৭৮,৩১৩ জন। উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের পূর্বে ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড ও ৮নং শুলকবহর ওয়ার্ড, দক্ষিণে ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড ও ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড, পশ্চিমে ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড এবং উত্তরে সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়ন অবস্থিত। এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি কলেজ, ৪টি মাদ্রাসা, ৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
২. পাহাড়তলী ইউনিয়ন: এটি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এর আয়তন ৩৮১৫ একর (১৫.৪৪ বর্গ কিলোমিটার) এবং ২০০১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ২২,৩৪৩ জন। এই ইউনিয়নে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং রাউজান বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত। এছাড়াও এখানে বেশ কয়েকটি বৌদ্ধ বিহার রয়েছে, যেমন মহামুনি বৌদ্ধ বিহার, পাহাড়তলী মহানন্দ সংঘরাজ বিহার, ইত্যাদি।
৩. পাহাড়তলী থানা: চট্টগ্রাম জেলার একটি মেট্রোপলিটন থানা। এর আয়তন ১৩.৩১ বর্গ কিলোমিটার, এবং ২০০১ সালে জনসংখ্যা ছিল ১,৯০,৬৩৭ জন। এই থানা ১৯৭৮ সালের ৩০ নভেম্বর গঠিত হয়। পাহাড়তলী থানার সাথে স্বাধীনতা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনার সম্পৃক্ততা রয়েছে। মাস্টারদা সূর্যসেন ও তার দলের আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের চট্টগ্রাম কোষাগার লুণ্ঠন এবং প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মত্যাগের ঘটনা পাহাড়তলী থানার সাথে জড়িত।
আমরা "উত্তর ঘুনিয়া পাহাড়তলী" সম্পর্কে আরও স্পষ্ট তথ্য পাওয়ার পর এই নিবন্ধটি সম্পূর্ণ করব।