পাহাড়তলী

চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়তলী এলাকা:

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত ১৩ নম্বর ওয়ার্ড হিসেবে পরিচিত পাহাড়তলী, ৩.২৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, এর জনসংখ্যা ছিল ৮০,৩৯০ জন (পুরুষ ৪২,৫৬১, মহিলা ৩৭,৮২৯)। এই এলাকাটি চট্টগ্রামের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত। পশ্চিমে ১২ নং সরাইপাড়া, দক্ষিণে ১২ নং সরাইপাড়া ও ২৩ নং উত্তর পাঠানটুলী, পূর্বে ১৪ নং লালখান বাজার এবং উত্তরে ৮ নং শুলকবহর ও ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড অবস্থিত। পাহাড়তলীর সাক্ষরতার হার ৬১.৯%। এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি কলেজ, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ইউসেপ নামে একটি বিদেশি এনজিও পরিচালিত স্কুলও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

পাহাড়তলীর অর্থনীতি ব্যাংকিং, ব্যবসা, পরিবহন ও যোগাযোগ, চাকুরীজীবী জনসংখ্যা, এবং নির্মাণ কাজের উপর নির্ভরশীল। এখানে অসংখ্য ব্যাংক, বাজার (পাহাড়তলী বাজার, সিডিএ মার্কেট), এবং বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্স রয়েছে। পাটজাত দ্রব্য ও প্রক্রিয়াজাত চিংড়ি এখানকার প্রধান রপ্তানিদ্রব্য।

ঐতিহাসিক দিক থেকে পাহাড়তলী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাস্টারদা সূর্যসেন ও তাঁর দলের আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের চট্টগ্রাম কোষাগার লুণ্ঠনের ঘটনা এবং প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মত্যাগের ঘটনা এই এলাকার ঐতিহাসিক গুরুত্বকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে। এছাড়াও, পাহাড়তলী থানার স্থাপনা, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং জোহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এখানকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। পাহাড়তলী একটি জীবন্ত ও গতিশীল এলাকা, যা চট্টগ্রামের অর্থনীতি ও ঐতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • পাহাড়তলী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড।
  • এর আয়তন ৩.২৬ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ৮০,০০০।
  • মাস্টারদা সূর্যসেন ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ঐতিহাসিক ঘটনার সাথে পাহাড়তলী জড়িত।
  • এখানে ব্যাংক, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
  • পাটজাত দ্রব্য ও প্রক্রিয়াজাত চিংড়ি এখানকার প্রধান রপ্তানি দ্রব্য।

গণমাধ্যমে - পাহাড়তলী

চট্টগ্রামের একটি এলাকা