ইরানের বিপ্লবী গার্ড

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:২১ এএম

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোর (আইআরজিসি) হলো ইরানের একটি অত্যন্ত প্রভাবশালী সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর দেশটির ইসলামি শাসন ব্যবস্থাকে সুরক্ষা দিতে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আইআরজিসি দেশটির নিয়মিত সেনাবাহিনীর বাইরে কাজ করে এবং এর নিজস্ব স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনী রয়েছে। এর আনুমানিক এক লক্ষ নব্বই হাজার সদস্য রয়েছে।

আইআরজিসি শুধুমাত্র সামরিক কাজেই সীমাবদ্ধ নয়। ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচি পরিচালনার দায়িত্বও এদের উপর ন্যস্ত। এদের ব্যাপক ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য রয়েছে, প্রতিরক্ষা, প্রকৌশল ও নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে অনেক কোম্পানির মালিক। ফলে তারা ইরানের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আইআরজিসির আধাসামরিক বাহিনী বাসিজ প্রতিরোধ বাহিনী (বাসিজ) ইরানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষা করে এবং সরকারবিরোধী আন্দোলন দমনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আইআরজিসির একটি বৈদেশিক কার্যক্রম বিভাগ আছে, যার নাম কুদস বাহিনী (কুদস ফোর্স)। এই বাহিনী মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সংগঠনকে অস্ত্র, অর্থ ও প্রশিক্ষণ সরবরাহ করে। লেবাননের হেজবুল্লাহ, ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া এবং সিরিয়ার বিভিন্ন গোষ্ঠী কুদস বাহিনীর সহায়তা পেয়ে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালে এবং যুক্তরাজ্য সম্প্রতি আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণার পর আইআরজিসির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করা অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। তবে আইআরজিসির কার্যক্রম কতটা প্রভাবিত হবে তা এখনও অনিশ্চিত।

মূল তথ্যাবলী:

  • ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোর (আইআরজিসি) একটি সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি
  • ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের পর প্রতিষ্ঠিত
  • নিজস্ব স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনী রয়েছে
  • ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচি পরিচালনা করে
  • মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন সংগঠনকে সমর্থন করে
  • যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ইরানের বিপ্লবী গার্ড

৩ জানুয়ারী ২০২০

এই সংগঠনের প্রধান কাসেম সোলাইমানি মার্কিন হামলায় নিহত হন।