ইফাত হোসেন নামে দুজন ব্যক্তির কথা এই লেখা থেকে পাওয়া যায়। একজন ১৬ বছর বয়সী কিশোর যিনি ২০ জুলাই ২০২৩ সালে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। অন্যজন মুশফিকুর রহমান ইফাত, যিনি ১৫ লাখ টাকার ছাগল কেনার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত হয়েছিলেন।
১৬ বছর বয়সী ইফাত হোসেন:
এই ইফাত হোসেন ছিলেন একজন ১৬ বছর বয়সী কিশোর। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের মনপুরা গ্রামে। তিনি ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে একটি সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ২০ জুলাই ২০২৩ সালে মারা যান। তার মা কামরুন নাহারের কথায়, ইফাত একজন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনায় জড়িত হন। ইফাতের বাবা উত্তরা ব্যাংকে চাকরি করতেন এবং ২০২২ সালের জানুয়ারিতে মারা যান। ইফাত স্থানীয় এ কে হাইস্কুলের নবম শ্রেণীতে পড়ত। তাকে ২১ জুলাই তার গ্রামের বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মুশফিকুর রহমান ইফাত:
এই ইফাত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানের ছেলে বলে জানা গেলেও, মতিউর রহমান এ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি ঈদুল আজহার আগে ১৫ লাখ টাকার (প্রাথমিক দাম) একটি ‘উচ্চবংশীয়’ ছাগল কিনতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় আসেন। তার বিলাসী জীবনযাপন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বিভিন্ন এগ্রো ফার্ম থেকে অনেক দামি গরু ও ছাগল কিনেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সাদিক অ্যাগ্রোর সাথে তার ১১ লাখ টাকার লেনদেন নিয়েও বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং-এর সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।