আমিনল ইসলাম

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:০০ এএম

আমিনুল ইসলাম: একাধিক পরিচয়ের অধিকারী ব্যক্তিত্ব

বাংলাদেশে ‘আমিনুল ইসলাম’ নামটি একাধিক ব্যক্তির সাথে জড়িত। এই নামের সাথে যুক্ত বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের তথ্য নিম্নে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো যাতে এদের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট হয়।

১. কবি ও প্রবন্ধকার আমিনুল ইসলাম:

এই আমিনুল ইসলাম (জন্ম: ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৬৩) একজন খ্যাতনামা বাংলাদেশী কবি ও প্রবন্ধকার। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামাজিক কাজে স্নাতক এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামাজিক বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রিও অর্জন করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। তিনি ভারত, ইতালি, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, মায়ানমার, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, পর্তুগাল, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ করেছেন।

তার কাব্যকর্ম গভীরভাবে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি ২৩টি কাব্যগ্রন্থ সহ মোট ২৮টি বই রচনা করেছেন। তার লেখালিখিতে শহুরে ও বাস্তববাদী কাব্য রচনার জন্য একটি স্বতন্ত্র ভাষা গড়ে তোলার চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। তার কাব্যগ্রন্থের মধ্যে “তন্ত্র থেকে দূরে”, “মহানন্দা এক সোনালী নদীর নাম”, “শেষ হেমন্তের জোছনা”, এবং “কুয়াশার বর্ণমালা” উল্লেখযোগ্য। তিনি ২০২১ সালে কাজী নজরুল ইসলামের গানের উপর গবেষণা কাজের জন্য আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। বহু জ্যেষ্ঠ কবি, সমালোচক এবং সাহিত্যিক তার কবিতার উপর প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

২. চিত্রশিল্পী আমিনুল ইসলাম:

এই আমিনুল ইসলাম (৭ নভেম্বর, ১৯৩১ - ৮ জুলাই, ২০১১) ছিলেন একজন বিখ্যাত বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী। তিনি ঢাকা আর্ট কলেজের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন এবং সেখানে প্রথম সরকারি গেজেটভুক্ত শিক্ষক ছিলেন। তিনি ১৯৮১ সালে একুশে পদক এবং ১৯৮৮ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মুরাল তৈরি করেছেন।

৩. প্রাক্তন কূটনীতিক এম. আমিনুল ইসলাম:

এই আমিনুল ইসলাম একজন প্রাক্তন বাংলাদেশী কূটনীতিক। তিনি ১৯৮০ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ভুটানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন এবং ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছিলেন।

৪. মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম:

এই আমিনুল ইসলাম (১ জানুয়ারি, ১৯৩৫ - ২৯ নভেম্বর, ২০১৭) ছিলেন বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা মৃত্তিকা বিজ্ঞানী এবং শিক্ষাবিদ। মৃত্তিকা বিজ্ঞান ও গবেষণা প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য তিনি ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ছিলেন।

৫. লেখক আমিনুল ইসলাম:

এই আমিনুল ইসলাম ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ঢাকা, সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেন ও ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে তিনি এস্তোনিয়ার একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন এবং প্রথম আলোতে কলাম লেখেন।

উপরোক্ত তথ্যগুলি থেকে স্পষ্ট যে ‘আমিনুল ইসলাম’ নামটি একাধিক ব্যক্তিকে নির্দেশ করে। প্রসঙ্গের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন আমিনুল ইসলামের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। অধিক তথ্যের জন্য আমরা আপনাকে পরবর্তীতে আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • কবি আমিনুল ইসলাম ২৩টি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন।
  • চিত্রশিল্পী আমিনুল ইসলাম একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।
  • প্রাক্তন কূটনীতিক আমিনুল ইসলাম ভুটান ও কানাডায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
  • মৃত্তিকা বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত।
  • লেখক আমিনুল ইসলাম নিয়মিত প্রথম আলোতে কলাম লিখেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - আমিনল ইসলাম

৬ জানুয়ারী ২০২৫

আমিনল ইসলাম সিরাজগঞ্জের কুতুবের চর মৎস্য আড়তের বিষয়ে প্রতিবেদন করেছেন।