রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) ৩ নম্বর ওয়ার্ডে টিসিবি কার্ড বিতরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন নারী সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন যে, বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিসিবি কার্ড তুলে নিচ্ছেন। তাদের দাবি, সাবেক কাউন্সিলর (আওয়ামী লীগ) দলীয়ভাবে কার্ড বিতরণ করেছিলেন বলে এই কার্ডগুলি বাতিল ও নতুন তালিকা তৈরির জন্য বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা এই কাজ শুরু করেছেন।
এই ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে মহানগর বিএনপি সদস্য তাজউদ্দীন সেন্টু, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াত আমির মো. মনিরুজ্জামান এবং ওয়ার্ডের অন্যান্য বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। তবে জামায়াত নেতা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বিএনপি নেতা তাজউদ্দীন দাবি করেছেন যে, তারা কার্ড কেড়ে নেওয়ার পরিবর্তে তালিকা হালনাগাদ করছেন। রাসিকের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে টিসিবি কার্ডের সুবিধাভোগী ২৫৩৩ জন। নভেম্বর মাসের টিসিবি পণ্য এখনো সুবিধাভোগীরা পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নারীরা তাদের দীর্ঘদিন ধরে টিসিবি কার্ডের সুবিধা ভোগ করে আসার কথা উল্লেখ করেছেন এবং কার্ড বাতিলের ফলে তাদের ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ওয়ার্ড সচিব আহাদ আলীকে কার্ড বাতিলের চাপ দেওয়ার কারণে বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দীন ওয়ার্ড সচিব বদলির কথা স্বীকার করেছেন, তবে কোন কমিটি গঠনের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, তিনি তার দুজন কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী কোনো সমস্যা নেই।
চাঁদপুরের হাইমচর আলগী দূর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির একটি পৃথক ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে একটি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ঘটনা রাজশাহীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনার সাথে সম্পর্কিত নয় বলে মনে হয়। আরো তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা আপনাকে অবগত করব।