রাজশাহীতে টিসিবি কার্ড বিতরণে তাজউদ্দীন সেন্টুর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) ৩ নম্বর ওয়ার্ডে টিসিবি কার্ড বিতরণের নতুন তালিকা প্রণয়নে এবং পুরানো কার্ড বাতিলের ঘটনায় বিএনপি নেতা তাজউদ্দীন সেন্টুর ভূমিকা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ওয়ার্ডের কিছু নারী অভিযোগ করেছেন যে, তাজউদ্দীন সেন্টু ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াতের আমির মো. মনিরুজ্জামানসহ বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিসিবি কার্ড কেড়ে নিচ্ছেন।
এই নারীরা অভিযোগ করেন যে, তারা দরিদ্র হওয়ার কারণে টিসিবি কার্ড পেয়েছিলেন এবং এখন কার্ড বাতিল হওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাদের দাবি, কার্ড বাতিল না করা হোক।
তাজউদ্দীন সেন্টু, যিনি রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য, দাবি করেন যে, আওয়ামী লীগের সাবেক কাউন্সিলর কামাল হোসেন টিসিবি কার্ড দলীয়করণ করেছিলেন। এজন্য তালিকা হালনাগাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, বিএনপি ও জামায়াত যৌথভাবে এ কাজ করছে। তবে তিনি কার্ড কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং জানান যে শুধু বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
জামায়াতের আমির মো. মনিরুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং জানান যে, জামায়াত এ ব্যাপারে জড়িত নয়। ওয়ার্ড সচিব আহাদ আলীকে কার্ড বাতিলের চাপ দেওয়ার অভিযোগে বদলি করা হয়েছে। রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দীন কমিটি গঠনের কথা অস্বীকার করলেও তিনি ওয়ার্ড সচিবের বদলির কথা স্বীকার করেন।
এই ঘটনায় ২৫৩৩ জন টিসিবি কার্ডধারী প্রভাবিত হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিলুফা বেগম, দোলকজান বেওয়া, জোসনা বিবি, সালেহা বেগম, মাসুমা আক্তার রিতু, সখিনা ইসলাম, রহিমা বেগম, ফাতেমা বেগম এবং সাবিনা ইয়াসমিনসহ আরও কয়েকজন। ঘটনাটি রাজশাহীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটেছে। ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য আরও তথ্যের প্রয়োজন।
তাজউদ্দীন সেন্টু সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই প্রতিবেদনটি হালনাগাদ করব।