হাইতিতে হোয়ার্ফ জেরেমি গোষ্ঠীর নৃশংসতার চিত্র: জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইতির সিটি সোলেইলে হোয়ার্ফ জেরেমি নামক অপরাধী গোষ্ঠীর অন্তর্দ্বন্দ্বে অন্তত ২০৭ জন নিহত হয়েছেন। পোর্ট-ও-প্রিন্সের বন্দরের কাছাকাছি অবস্থিত এই এলাকাটি বহু বছর ধরে অপরাধের জন্য কুখ্যাত। এক সপ্তাহব্যাপী সংঘর্ষে গোষ্ঠীর প্রায় ৩০০ সদস্য ১৩৪ জন পুরুষ ও ৭৩ জন নারীকে হত্যা করে। অনেক নিহতই বয়স্ক ব্যক্তি, যাদের বিরুদ্ধে ‘ভুডু’ জাদু করার অভিযোগ ছিল। গোষ্ঠীর নেতা মোনেল ‘মিকানো’ ফেলিক্স তার সন্তানের অসুস্থতার জন্য স্থানীয়দের ‘ভুডু’ জাদুকে দায়ী করে এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। জাতিসংঘের মতে, নিহতদের অনেককে ভুডু মন্দির ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। গ্যাঙ সদস্যরা হত্যাকাণ্ডের পর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া, লাশ পোড়ানো এবং দেহাবশেষ সাগরে ফেলে প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছর ধরে হাইতির বন্দর, গুদাম ও জাতীয় সড়কের একাংশ মিকানোর গ্যাঙের দখলে রয়েছে। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত হাইতিতে ৫৩০০ জনের বেশি মানুষ খুন হয়েছে, এবং ২০২২ সালের শুরু থেকে এই সংখ্যা ১২,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। সাত লাখের বেশি মানুষ দেশের ভেতরেই উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে।
হোয়ার্ফ জেরেমি গোষ্ঠী
মূল তথ্যাবলী:
- হোয়ার্ফ জেরেমি গোষ্ঠীর অন্তর্দ্বন্দ্বে ২০৭ জনের মৃত্যু
- পোর্ট-ও-প্রিন্সের সিটি সোলেইলে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড
- মোনেল ‘মিকানো’ ফেলিক্সের নেতৃত্বে হামলা
- ভুডু জাদু অভিযোগের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ড
- জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ঘটনার তথ্য উঠে আসে
গণমাধ্যমে - হোয়ার্ফ জেরেমি গোষ্ঠী
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
হোয়ার্ফ জেরেমি গোষ্ঠী হত্যাকাণ্ডে জড়িত।