চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার মিঠানিয়া খালের দীর্ঘদিনের দূষণ ও দখলের কারণে কৃষকদের ক্ষতির কথা তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মিঠানিয়া খালটি সেচের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও, আবর্জনা ফেলা, দখল এবং দূষণের কারণে খালটি অনেকটা ভরাট হয়ে গেছে। এর ফলে ১১টি সেচ প্রকল্পের পানি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে এবং প্রায় ১০০০ একর ফসলি জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে। প্রতিবেদনে কৃষক হোসেন মিজি এবং আব্দুল মালেকের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে তারা মিঠানিয়া ব্রিজ নির্মাণের সময় খালের ওপর বিকল্প সড়ক স্থাপন এবং পরবর্তীতে ওই বিকল্প সড়কের মাটি ও বালু সরিয়ে না নেয়ার কারণে সেচের পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত হওয়ার কথা বলেছেন। এতে প্রায় হাজার হাজার একর জমির চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে এরাকার সেচ প্রকল্পের ম্যানেজাররা নিজস্ব অর্থায়নে মিঠানিয়া ব্রিজের দুই পাশ থেকে ময়লা-আবর্জনা ও মাটি অপসারণ করে সেচের পানি প্রবাহে সাময়িক ব্যবস্থা করেছিলেন, কিন্তু বর্তমানে আবারও খালটি ভরাট হয়ে গেছে। হোসেন মিজি এবং অন্যান্য কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এই অঞ্চলের অধিকাংশ জমি এক ফসলি, এবং মিঠানিয়া খালের অবস্থার অবনতি তাদের জীবিকার উপর প্রভাব ফেলেছে। হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, বিএডিসির প্রকৌশলী এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হোসেন মিজি
মূল তথ্যাবলী:
- মিঠানিয়া খাল দূষণ ও দখলে ১০০০ একর জমি অনাবাদি
- হোসেন মিজি ও অন্যান্য কৃষকের জীবিকা হুমকির মুখে
- মিঠানিয়া ব্রিজ নির্মাণের ফলে সেচ ব্যবস্থা ব্যাহত
- কৃষি কর্মকর্তা, বিএডিসি ও ইউএনও সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন
গণমাধ্যমে - হোসেন মিজি
২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম
হোসেন মিজি ও আব্দুল মালেক মিঠানিয়া খাল ভরাটের কারণে কৃষকদের দুর্ভোগের কথা জানিয়েছেন।
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
মিঠানিয়া খালের ভরাটের কারণে কৃষক হোসেন মিজি ও আব্দুল মালেকের জমির চাষাবাদ হুমকির মুখে