হেমি হোসেন: একজন সফল উদ্যোক্তার অসাধারণ জীবনযাত্রা
আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জনকারী বেস্ট সেলিং বই ‘ফায়ার ইউর বস’ এর লেখক হেমি হোসেন একজন অনুপ্রেরণামূলক ব্যক্তিত্ব। তার জীবন গল্প এক সাধারণ মানুষের অসাধারণ সাফল্যের কাহিনী। ১৯৭৭ সালের ২৯শে মার্চ বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমান হেমি হোসেন। অস্ট্রেলিয়ায় কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি বিজনেস ইনফরমেশন সিস্টেমে স্নাতক এবং আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তার কর্মজীবন শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। পরবর্তীতে তিনি অস্ট্রেলিয়ার একটি শীর্ষ টেলিযোগাযোগ সংস্থায় নির্বাহী হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু একজন কর্পোরেট নির্বাহী হিসেবে কাজ করার চেয়ে সমাজের জন্য আরও বেশি কিছু করার ইচ্ছা তাঁকে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে প্ররোচিত করে। অনেক চেষ্টা এবং সংগ্রামের পর তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে আবির্ভূত হন।
২০২০ সালের ২১শে জানুয়ারি আমাজনে প্রি-অর্ডারের জন্য প্রকাশিত হওয়ার একদিনের মধ্যেই ‘ফায়ার ইউর বস’ বইটি আমাজনের বেস্ট সেলার তালিকায় স্থান করে নেয়। এই বইতে উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা ও সাতটি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হেমি হোসেনের নিজস্ব ‘৯পি ফর্মুলা’ ও বইতে অন্তর্ভুক্ত। তিনি তার জীবনের ব্যর্থতা ও সাফল্যের অভিজ্ঞতাও বইতে তুলে ধরেছেন। তিনি চান বাংলাদেশের তরুণরা চাকরিজীবী থেকে চাকরিদাতা হয়ে উঠুক।
হেমি হোসেনের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী প্রধান অতিথি ছিলেন। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন সোনিয়া বশির কবির, অধ্যাপক শামস রহমান, ইকবাল বাহার চৌধুরী, হাবিবুল্লাহ ডন এবং আব্দুর নূর তুষার। বক্তারা হেমি হোসেনের বই ও তার সাফল্যের প্রশংসা করে দেশের অগ্রযাত্রায় তার আরও অবদান রাখার আহ্বান জানান।
হেমি হোসেনের জীবন গল্প এক অসাধারণ উদাহরণ যে কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে কেউ সফল হতে পারে। তার ‘ফায়ার ইউর বস’ বইটি শুধু একটা বই নয়, বরং স্বপ্ন দেখা এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নের অনুপ্রেরণা।