হেমা মালিনী: বলিউডের স্বপ্নলীলা ও রাজনীতির অভিযান
হেমা মালিনী, ভারতের একজন বিখ্যাত অভিনেত্রী, পরিচালক, প্রযোজক এবং রাজনীতিবিদ। ১৯৪৮ সালের ১৬ই অক্টোবর তামিলনাড়ুর আম্মানকুডি-তে জন্মগ্রহণকারী হেমা মালিনীর জাতিগত পরিচয় তামিল আয়েন্গার ব্রাহ্মণ। তার পিতা ভি.এস.আর. চক্রবর্তী এবং মাতা জয়ালক্ষ্মী চক্রবর্তী। ১৯৬১ সালে তামিল চলচ্চিত্র 'পান্ডব বনবাস' দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করলেও ১৯৬৮ সালে হিন্দি চলচ্চিত্র 'স্বপ্ন কা সৌদাগর' এর মাধ্যমে তিনি বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন এবং 'ড্রিম গার্ল' হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
ধর্মেন্দ্র এবং রাজেশ খান্নার মতো তারকা অভিনেতাদের সাথে জুটি বেঁধে তিনি অসংখ্য হিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। 'সীতা অর গীতা' (১৯৭২) ছবির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও 'শোলে', 'ক্রান্তি', 'নাসিব', 'সত্তে পে সত্তা' এর মতো জনপ্রিয় ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। ৮০-এর দশকের পর মা হওয়ার পরও তিনি নায়িকা কেন্দ্রিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি 'দিল আশনা হ্যায়' (১৯৯২) ও 'মোহিনী' (১৯৯৫) চলচ্চিত্রের পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০০৩ সালে 'বাগবান' চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি পর্দায় ফিরে আসেন।
অভিনয়ের পাশাপাশি হেমা মালিনী একজন দক্ষ ভারতনাট্যম নৃত্যশিল্পী। ২০০০ সালে তিনি ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী লাভ করেন।
২০১৪ সাল থেকে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রতিনিধি হিসেবে মথুরা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। তিনি রাজনীতিতেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। তার জীবনে অভিনয়, পরিচালনা, প্রযোজনার সাথে সাথে রাজনীতির অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। হেমা মালিনীর ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মেন্দ্রের সাথে তার বিবাহ একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তাদের দুই মেয়ে, এশা দেওল ও অহনা দেওল।
তার অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা, নৃত্যের প্রতি দক্ষতা এবং রাজনৈতিক অবদানের জন্য হেমা মালিনী ভারতের চলচ্চিত্র ও রাজনীতিতে একজন আইকনিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত।