কম্বোডিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত: ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার ও নতুন চ্যালেঞ্জ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটেছে হুন মানেতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে। প্রায় চার দশক ক্ষমতায় থাকা হুন সেনের বড় ছেলে হিসেবে তিনি এই উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হন। তার পদোন্নয়নের পেছনে দীর্ঘদিন ধরেই কম্বোডিয়ার রাজনীতিতে হুন সেন পরিবারের প্রভাব এবং 'উত্তরাধিকারসূত্রে' ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) বিশাল জয় অর্জন করে। এই নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। প্রধান বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ অবাধ ও সুষ্ঠু বলে মনে করেনি। নির্বাচনের পর হুন সেন তার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে হুন মানেতকে তার উত্তরসূরি হিসেবে নির্দেশ করেন।
৪৫ বছর বয়সী হুন মানেত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কম্বোডিয়ার রয়্যাল কম্বোডিয়ান আর্মির সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ২০১৮ সাল থেকে ক্ষমতাসীন সিপিপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। সামরিক প্রশিক্ষণ ও পশ্চিমা শিক্ষা লাভ করা সত্ত্বেও, তার শাসনামলে কম্বোডিয়ার রাজনীতি কতটা উদার হবে তা নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় থাকা স্বাভাবিক।
হুন মানেতের নেতৃত্বাধীন সরকারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অর্থনীতি চাঙা করা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করা, এবং দেশে দুর্নীতি কমানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মহলে তার সরকারের সম্পর্ক কতটা সুদৃঢ় হবে তা ও দেখার বিষয়। সাম্প্রতিক নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক বিরোধিতার পরিপ্রেক্ষিতে এই চ্যালেঞ্জগুলো এখন আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
এই লেখাটিতে হুন মানেতের সম্পর্কে সাম্প্রতিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও তথ্য প্রাপ্ত হলে এই লেখাটি আপডেট করা হবে।