হাফিজুর রশিদ

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:৩৮ পিএম

হাফিজুর রশিদের নামের সাথে যুক্ত দুটি প্রধান ব্যক্তি রয়েছেন। একজন হলেন হাফিজ রশিদ খান, একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী কবি, লেখক, সম্পাদক, সাংবাদিক ও আদিবাসী গবেষক। অন্যজন হলেন হাফিজুর রশিদ, যিনি ছিলেন সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং স্টেডিয়াম মার্কেটের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।

হাফিজ রশিদ খান:

১৯৬১ সালের ২৩ জুন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালীতে জন্মগ্রহণ করেন হাফিজ রশিদ খান। চট্টগ্রাম শহরের শুলকবহর এলাকায় বেড়ে ওঠা হাফিজ রশিদ খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি নব্য উপনিবেশবাদ ও আদিবাসী গবেষণায় বিশেষ অবদান রেখেছেন। একুশ বছর বয়সে ১৯৮২ সালে তার প্রথম কবিতা চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত হয়। তার লেখালেখির যাত্রা শুরু হয় আশির দশকে। তিনি রেনেসাঁস, ধানের শীষে গান, বৃষ্টি, সমুজ্জল সবাতাস, এবং পুস্পকরথ সহ বহু সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। ২০২১ সালের আগে তার ২৭ টি প্রকাশিত গ্রন্থ ছিল। ২০২০ সালে তার সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ 'রাতে আমার পেখম মেলে' প্রকাশিত হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি একুশে সাহিত্য পুরস্কারসহ আরও অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন। কলিকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক 'পুষ্পকরথ' সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনার জন্য তিনি লিটল ম্যাগাজিন পুরস্কার পান। ১৯৯৫ সালে তিনি মিলাতুন্নেসা খানমকে বিয়ে করেন এবং তাদের দুই কন্যা রয়েছে।

হাফিজুর রশিদ (ছাত্রনেতা):

এই হাফিজুর রশিদ ছিলেন সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং স্টেডিয়াম মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী। সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির শোক প্রকাশ করেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • হাফিজ রশিদ খান একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী কবি, লেখক ও সাংবাদিক।
  • তিনি নব্য উপনিবেশবাদ ও আদিবাসী গবেষণায় বিশেষ অবদান রেখেছেন।
  • চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক তিনি একুশে সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
  • হাফিজুর রশিদ ছিলেন সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
  • সড়ক দুর্ঘটনায় হাফিজুর রশিদের মৃত্যু হয়।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।