স্যানিটেশন

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:৫৫ পিএম

স্যানিটেশন, মানবজাতির সুস্বাস্থ্য ও টেকসই উন্নয়নের এক অপরিহার্য অংশ। এটি কেবলমাত্র পায়খানা ও ময়লা পানির ব্যবস্থাপনাই নয়, বরং একটি ব্যাপক ধারণা যা নিরাপদ পানি, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি এবং পরিবেশের সুরক্ষাও অন্তর্ভুক্ত করে। বাংলাদেশে স্যানিটেশনের ইতিহাস জুড়ে বিভিন্ন ধাপ লক্ষ্য করা যায়। ২০০০ সালে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (MDGs) এর অধীনে পানি ও স্যানিটেশনে উন্নতির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। ২০১৫ সালে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের পরিবর্তে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDGs) গ্রহণ করা হয় এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্য নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, যেমন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (PKSF), বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, ইউএসএআইডি, ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) স্যানিটেশন উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। তবে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় টুইন-পিট ল্যাট্রিনের ব্যবহার বৃদ্ধি, শহরাঞ্চলে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং টেকসই প্রযুক্তির প্রয়োগ অব্যাহতভাবে প্রয়োজন। স্যানিটেশন কেবলমাত্র একটা প্রকৌশলী সমস্যা নয়, এটি একটি সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার, বেসরকারি সংস্থা এবং সচেতন নাগরিকদের সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন। স্যানিটেশনের উন্নয়ন মানুষের সুস্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পরিবেশের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশে ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্য রয়েছে।
  • বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা স্যানিটেশন উন্নয়নে কাজ করছে।
  • গ্রামীণ এলাকায় টুইন-পিট ল্যাট্রিন ব্যবহার বৃদ্ধি প্রয়োজন।
  • শহরাঞ্চলে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রয়োজন।
  • সচেতনতা বৃদ্ধি ও টেকসই প্রযুক্তির প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।