স্পিডবোট দুর্ঘটনা

আপডেট: ৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩১ এএম

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি নিহত ও নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় দেশবাসী গভীর শোক প্রকাশ করেছে। ৫ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কীর্তনখোলা নদীতে ভোলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে আসা একটি নামহীন যাত্রীবাহী স্পিডবোটের সাথে মালবাহী স্টিলবডি ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি সম্পূর্ণভাবে নদীতে নিমজ্জিত হয়। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বোটে একজন চালকসহ ৮ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে চারজন যাত্রী নিখোঁজ হয় এবং বাকি পাঁচজন সাঁতরে ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তীরে উঠতে সক্ষম হয়। উদ্ধার হওয়া ৫ জনের মধ্যে ২ জন যাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা পিরোজপুরের দুর্গাপুরের ডালিম মাহমুদ (৩৫) নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে নদী থেকে স্পিডবোট চালক মো. আল আমিন, যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ইমন ও রাসেল আনির (২৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রতিবেদনে ঘটনার সময় চালক একই সাথে স্পিডবোট চালনা ও ভাড়া আদায়ে ব্যস্ত ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে যাত্রী সংখ্যা ও লাইফ জ্যাকেট পরিধানের বিষয়ে তথ্যের গরমিল ধরা পড়ে। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ অধিকতর তদন্তের কথা জানিয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকেই উদ্ধারকর্মীরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এই দুর্ঘটনায় স্পিডবোট চালকের দায়িত্বহীনতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সরকারি সংস্থাগুলো দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় একাধিক নিহত ও নিখোঁজ
  • ৫ ডিসেম্বর দুর্ঘটনাটি ঘটে
  • স্পিডবোট চালকের দায়িত্বহীনতার কারণে দুর্ঘটনা
  • বিআইডব্লিউটিএ তদন্ত চালাচ্ছে
  • নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।