আবুল কালাম

আবুল কালাম: একাধিক পরিচয়ের অধিকারী ব্যক্তিত্ব

বাংলা সাহিত্য ও রাজনীতিতে ‘আবুল কালাম’ নামটি একাধিক ব্যক্তির সাথে জড়িত। প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, কমপক্ষে তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এই নামে পরিচিত ছিলেন। তাদের জীবনী ও অবদান নিয়ে আলোচনা করা হলো:

  • *১. আবুল কালাম শামসুদ্দীন (১৮৯৭-১৯৭৮):** একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা কলেজ থেকে আইএ পাসের পর কলকাতার রিপন কলেজে ভর্তি হন, কিন্তু খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন। তিনি ‘মোহাম্মদী’, ‘মোসলেম জগৎ’, ‘দি মুসলমান’, ‘সোলতান’, ‘আজাদ’ ও ‘পাকিস্তান’সহ বেশ কিছু পত্রিকার সম্পাদনায় জড়িত ছিলেন। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের পর রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে ওঠেন এবং কংগ্রেস ও মুসলিম লীগে যোগদান করেন। পূর্ব পাকিস্তান রেনেসাঁ সোসাইটির সভাপতি ছিলেন এবং ময়মনসিংহ থেকে কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রতিবাদে আইন পরিষদ ও মুসলিম লীগ ত্যাগ করেন এবং প্রথম শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন। তিনি ‘পোড়োজমি’, ‘ত্রিস্রোতা’, ‘খরতরঙ্গ’, ‘দৃষ্টিকোণ’, ‘অতীত দিনের স্মৃতি’সহ অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেন। সরকারি খেতাব বর্জন করলেও বাংলা একাডেমী পুরষ্কার ও একুশে পদক লাভ করেন।
  • *২. আবুল কালাম শামসুদ্দীন (১৯২৬-১৯৯৭):** একজন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক। বরিশালের নলছিটি থানার কামদেবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বরিশাল জেলা স্কুল, ব্রজমোহন কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করেন। পূর্ব পাকিস্তান সরকারের প্রচার ও তথ্য দপ্তরে কর্মরত ছিলেন এবং ‘মাহে নও’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ইতালির রোমে বসবাস করতেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের পক্ষে কাজ করেন। ‘অনেক দিনের আশা’, ‘ঢেউ’, ‘আলমনগরের উপকথা’সহ বহু গল্প ও উপন্যাস রচনা করেছেন। বাংলা একাডেমী পুরষ্কার লাভ করেন।
  • *৩. মওলানা আবুল কালাম আজাদ (১৮৮৮-১৯৫৮):** একজন মুসলিম চিন্তাবিদ, রাজনীতিবিদ ও ভারতের শিক্ষামন্ত্রী। মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। গান্ধীবাদের অনুসারী ছিলেন এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ‘আল-হেলাল’ ও ‘আল-বালাগ’ নামক দুটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। কংগ্রেসের বিশিষ্ট নেতা ছিলেন এবং গান্ধীর অন্তরঙ্গ উপদেষ্টা ছিলেন। ‘ইন্ডিয়া উইন্স ফ্রিডম’ নামক বিখ্যাত আত্মজীবনী রচনা করেন।

এই তিনজন আবুল কালামই তাদের তৎকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাদের জীবন ও কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ ও ভারতের ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • আবুল কালাম নামে কমপক্ষে তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন
  • আবুল কালাম শামসুদ্দীন (১৮৯৭-১৯৭৮) ছিলেন একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
  • আবুল কালাম শামসুদ্দীন (১৯২৬-১৯৯৭) ছিলেন একজন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক
  • মওলানা আবুল কালাম আজাদ (১৮৮৮-১৯৫৮) ছিলেন একজন মুসলিম চিন্তাবিদ, রাজনীতিবিদ ও ভারতের শিক্ষামন্ত্রী

গণমাধ্যমে - আবুল কালাম

চুয়াডাঙ্গা বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবিতে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেন।