বাংলাদেশের সেতু নির্মাণ: একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে সেতু নির্মাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই লেখায় আমরা বাংলাদেশের সেতু নির্মাণের ইতিহাস, বিশেষ করে দুটি উল্লেখযোগ্য সেতু, পদ্মা সেতু এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর আলোকপাত করব।
পদ্মা সেতু:
১৯৭১ সালে জাপানি জরিপ বিশেষজ্ঞরা ঢাকা-ফরিদপুর সড়ক নির্মাণের সম্ভাব্যতা প্রতিবেদনে পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণের পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন, কিন্তু তার মৃত্যুর কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৯৮ সালে সরকার পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করে, তবে ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগে ঋণ স্থগিত করে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে উদ্বোধন হয় ৬.১৫ কিমি দীর্ঘ পদ্মা সেতু। সেতু নির্মাণে মোট খরচ হয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু:
১৯৯৮ সালে উদ্বোধিত যমুনা সেতু (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু), বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু যমুনা নদীর উপর অবস্থিত। ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি টাঙ্গাইল এবং সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করেছে এবং দেশের উত্তর অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কী তথ্য:
- পদ্মা সেতু বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত।
- পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু।
- বঙ্গবন্ধু সেতু উত্তর অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- উভয় সেতুই বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করেছে।
স্থান:
- পদ্মা সেতু: মাওয়া (মুন্সীগঞ্জ), জাজিরা (শরীয়তপুর ও মাদারীপুর)
- বঙ্গবন্ধু সেতু: ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল), সিরাজগঞ্জ
ব্যক্তি:
- শেখ হাসিনা (পদ্মা সেতু উদ্বোধন)
- শেখ মুজিবুর রহমান (পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রাথমিক ঘোষণা)
সংগঠন:
- বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বাসেক)
- চীনা রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ (পদ্মা সেতু নির্মাণ)
- হুন্দাই (বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ)
ট্যাগ:
#সেতু_নির্মাণ, #পদ্মা_সেতু, #বঙ্গবন্ধু_সেতু, #অবকাঠামো_উন্নয়ন, #বাংলাদেশ
অস্পষ্টতা দূরীকরণ:
প্রয়োজন নেই।