সুলতানা পারভীন

আপডেট: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ১:১৮ এএম

দুই সুলতানা পারভীন সম্পর্কে তথ্য:

এই নামের সাথে দুটি ব্যক্তি সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথমজন একজন বিখ্যাত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেত্রী এবং দ্বিতীয় জন একজন সাবেক কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক। তাদের জীবনী ও কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিম্নে দেওয়া হল:

১. পারভীন সুলতানা (দিতি):

পারভীন সুলতানা, যিনি দিতি নামে অধিক পরিচিত ছিলেন, একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী অভিনেত্রী ছিলেন। তার জন্ম ৩১ মার্চ, ১৯৬৫ সালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে। তিনি ২ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং ১৯৮৭ সালে 'স্বামী স্ত্রী' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি টেলিভিশন নাটকেও অভিনয় করেছেন, নাটক পরিচালনা করেছেন এবং রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন। তার গায়কী প্রতিভাও ছিল এবং একটি জাতীয় প্রতিযোগিতায় তিনি বাংলাদেশ শিশু একাডেমী থেকে পুরস্কার পেয়েছিলেন। এডেন মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং লালমাটিয়া মহিলা কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি অভিনেতা সোহেল চৌধুরী এবং পরে ইলিয়াস কাঞ্চনকে বিয়ে করেছিলেন। ২০ মার্চ, ২০১৬ সালে মস্তিষ্ক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

২. সুলতানা পারভীন (সাবেক কুড়িগ্রাম ডিসি):

সুলতানা পারভীন একজন সাবেক বাংলাদেশী সরকারি কর্মকর্তা যিনি কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের দায়ের এবং নিপীড়নের সাথে জড়িত হিসাবে অভিযুক্ত ছিলেন। এই ঘটনায় তাকে প্রত্যাহার করা হয় এবং বিভাগীয় মামলায় তার বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি তাঁর আপিল গ্রহণ করে ওই শাস্তি বাতিল করেন এবং অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • পারভীন সুলতানা (দিতি) একজন বিখ্যাত বাংলাদেশী অভিনেত্রী ছিলেন।
  • তিনি ২00 টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
  • তিনি ১৯৮৭ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার লাভ করেছিলেন।
  • সোনারগাঁওয়ে তার জন্ম হয়।
  • মস্তিষ্ক ক্যান্সারে তার মৃত্যু হয়।
  • সুলতানা পারভীন (সাবেক কুড়িগ্রাম ডিসি) একজন সাবেক বাংলাদেশী সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন।
  • সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় তার নাম জড়িত ছিল।
  • তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল এবং রাষ্ট্রপতি তাঁকে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।