ঝালকাঠিতে হিন্দু যুবক সুদেব হালদার হত্যাকাণ্ড: এক নৃশংসতার চিত্র
গত ৬ই জানুয়ারি, ঝালকাঠি জেলার রামপুর গ্রামে সংঘটিত হয়েছে এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ২৮ বছর বয়সী সুদেব হালদার নামে এক হিন্দু যুবককে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাত ১১টার দিকে রামপুর জোড়াপোল এলাকায়। সুদেব বাউকাঠি বাজারে নিজের মোবাইল ফোন বিক্রয় ও মেরামতের দোকান চালাতেন। স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি যখন দুষ্কৃতীরা তাকে হামলা করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ সুপার উজ্জ্বলকুমার রায় ঘটনার তদন্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, নিহতের মাথা ও ঘাড়ে একাধিক কোপের আঘাত ছিল। প্রাথমিকভাবে হত্যার সন্দেহ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে লাশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে ধর্মীয় কারণ আছে কিনা, তা তদন্তের বিষয়।
সুদেবের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগে মোবাইলের সার্ভিসিং নিয়ে তার কয়েকজনের সাথে ঝগড়া হয়েছিল। সুদেবের দাদা সুকেশ হালদারের ধারণা, ওই ঝগড়ার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে সুদেবের মা শেফালি হালদার দাবি করেন, তার ছেলে কখনোই কারও সাথে খারাপ ব্যবহার করেননি। তিনি হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী করেছেন।
এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা বেড়েছে। কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগকে ট্যাগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে ধর্মীয় উদ্দেশ্য আছে কিনা, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। আমরা আরও তথ্য পাওয়ার পর এই প্রতিবেদনটি আপডেট করব।