পঞ্জাবের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিং বাদল: এক অভাবনীয় হামলার শিকার
৪ ডিসেম্বর, ২০২৪-এ অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের বাইরে পঞ্জাবের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং শিরোমণি অকালি দলের নেতা সুখবীর সিং বাদলের উপর এক অভাবনীয় হামলা চালানো হয়। এক ব্যক্তি হঠাৎ করেই পিস্তল বের করে সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তবে, সুখবীর সিং বাদলের কাছে থাকা একজন তৎপরতার সাথে হামলাকারীকে আটকে ধরেন। গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এবং সুখবীর সিং বাদল অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।
ঘটনার বিবরণ:
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন এবং নিরাপত্তা কর্মীরা দ্রুত হামলাকারীকে ধরে ফেলে। ধৃত হামলাকারীর নাম নারায়ণ সিং চৌড়া। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং একটি পিস্তল উদ্ধার করে। নারায়ণ সিং চৌড়া খালিস্তান আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত এবং বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল (BKI) -এর প্রাক্তন সদস্য বলে জানা গেছে। তিনি ১৯৮৪ সালে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন এবং পাকিস্তান থেকে পঞ্জাবে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচার করতেন। তিনি গেরিলা যুদ্ধের উপর একটি বইও লিখেছেন বলে জানা গেছে। তিনি বুড়াইল জেলব্রেক মামলার অভিযুক্ত ছিলেন এবং পঞ্জাবের জেলে সাজা ভোগ করেছেন।
সুখবীর সিং বাদলের উপর শাস্তি:
উল্লেখযোগ্য যে, সুখবীর সিং বাদল ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত শিরোমণি অকালি দলের সরকারের সময় ধর্মীয় ভুলের জন্য অকাল তখ্তের দেওয়া শাস্তি পালন করছিলেন। তাঁকে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে গুরুদ্বারের রান্নাঘর এবং শৌচালয় পরিষ্কার করা, বাসন-কোসন পরিষ্কার করার মতো কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গুলি চালানোর সময় তিনি এই শাস্তি পালন করছিলেন।
সাম্প্রতিক ঘটনা ও পরিণতি:
এই হামলায় সুখবীর সিং বাদল অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও, এটি পঞ্জাবের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। এই ঘটনায় নারায়ণ সিং চৌড়ার উপর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সুখবীর সিং বাদলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
সুখবীর সিং বাদল সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
- পঞ্জাবের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী
- শিরোমণি অকালি দলের নেতা
- প্রয়াত প্রকাশ সিং বাদলের পুত্র
- হরসিমরত কউর বাদলের স্বামী
এই হামলার ঘটনা পঞ্জাবের রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে এবং সুখবীর সিং বাদলের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।