চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জাহাজ হত্যাকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন সুকানি আমিনুর মুন্সী (৪১)। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের উত্তর পাংখারচর গ্রামের বাসিন্দা আমিনুর মুন্সী ছিলেন একজন জাহাজের সুকানি। ঘটনার পর তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি প্রায় ১২ বছর ধরে জাহাজে কাজ করতেন এবং তাঁর স্ত্রী নাদিরা বেগমসহ দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। আমিনুর মুন্সীর বড় ভাই হুমায়ূন মুন্সী ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে মনে করেন। তার মতে, নিহতদের প্রত্যেকেরই মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল এবং তাদের মানিব্যাগ মোবাইল সহ অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র জাহাজে থাকতে দেখা গেছে, যা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের সন্দেহ জাগায়। এই নৃশংস ঘটনার জন্য দোষীদের বিচারের দাবি উত্থাপন করেছেন আমিনুর মুন্সীর পরিবার এবং এলাকাবাসী।
এমভি আল-বাখেরা জাহাজে ঘটে যাওয়া এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনও চলছে। পুলিশ এই ঘটনাকে ডাকাতি বলে মনে করে না এবং এর পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকার সম্ভাবনা প্রকাশ করেছে। আমিনুর মুন্সীর মৃত্যু একটি গুরুত্বপূর্ণ দুর্ঘটনার আরেকটি দৃষ্টান্ত, যা নৌ-পথের নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।