সিলেট জেলা প্রেসক্লাব: ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও ভবিষ্যৎ
সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাংবাদিকদের একটি ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন। দীর্ঘদিন ধরে এটি সিলেটের সাংবাদিকদের একত্রিত করে তাদের অধিকার রক্ষা, পেশাগত উন্নয়ন এবং সামাজিক দায়িত্ব পালনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ক্লাবের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যোগ করেছে।
২০২৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৮ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সহসভাপতি (প্রথম) মনিরুজ্জামান মনির, সহসভাপতি (দ্বিতীয়) সজল ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ আনন্দ সরকার, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক শাহজাহান সেলিম বুলবুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. রেজাউল হক ডালিম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক জামিল আহমদ (আহমেদ জামিল), পাঠাগার সম্পাদক মো. আলী আকবর চৌধুরী কোহিনূর এবং দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আহাদ। বাকি ৪ পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সভাপতি পদে ফয়সল আহমদ বাবলু ও মঈন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক পদে মিসবাহ উদ্দীন আহমদ ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে অমিতা সিনহা, এম. আর টুনু তালকুদার ও রবিকিরন সিংহ রাজেশ এবং সদস্য পদে তুহিন আহমদ, মো. মোহিদ হোসেন, মো. সোহেল আহমদ সুহেল (নবীন সোহেল), রনজিৎ কুমার সিংহ, রাজীব আহমেদ রাসেল (রাজীব রাসেল) ও রায়হান উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেছেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ. কে. এম শমিউল আলম (প্রধান নির্বাচন কমিশনার), মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সিলেট সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী।
১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা এবং পরবর্তীতে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ২০ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। ভোটগ্রহণ ২৮ ডিসেম্বর সকাল ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচন শুধুমাত্র সাংবাদিকদের জন্য নয়, এটি সিলেটের গণতান্ত্রিক ও সামাজিক জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। নতুন কমিটি ক্লাবের ঐতিহ্য ধারণ করে আরও উন্নত ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।