সিরিয়ার নতুন সরকার

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনের পর নতুন একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। সরকারি সংবাদ সংস্থা সানার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চেষ্টা হিসেবে এই নতুন সরকার গঠন করা হয়েছে। আসাদ হাসান আল-সিবানিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মুরহাফ আবু কাসরাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মুরহাফ আবু কাসরা হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নামক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জ্যেষ্ঠ নেতা এবং এইচটিএস-এর নেতৃত্বেই বাশার আল-আসাদের পতন ঘটে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন মন্ত্রিসভার সকল সদস্য এইচটিএস প্রধান আহমেদ হুসাইন আল-শারার ঘনিষ্ঠ। আল-শারাকে বর্তমানে সিরিয়ার ‘ডি ফ্যাক্টো’ শাসক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি বিদেশি প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করছেন এবং দেশ পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিদ্রোহীরা ৮ই ডিসেম্বর দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ২৪ বছর শাসন করার পর বাশার আল-আসাদ পালিয়ে যান। এই ঘটনার পর কাতার ও তুরস্ক দামেস্কে তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করেছে, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও একই উদ্যোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র আগে আল-শারাকে গ্রেপ্তারের জন্য ১ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, কিন্তু পরে সেটি প্রত্যাহার করে নেয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনের পর নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত।
  • আসাদ হাসান আল-সিবানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুরহাফ আবু কাসরা প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত।
  • নতুন সরকারের সাথে এইচটিএস-এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
  • আহমেদ হুসাইন আল-শারাকে ‘ডি ফ্যাক্টো’ শাসক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
  • কাতার ও তুরস্ক দামেস্কে দূতাবাস পুনরায় চালু করেছে।

গণমাধ্যমে - সিরিয়ার নতুন সরকার