সালমা বাণী: একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক
সালমা বাণী (জন্ম: ১৬ ডিসেম্বর ১৯৬২) একজন প্রতিভাবান ও সমাদৃত বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক। তিনি ২০২৩ সালে কথাসাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার অর্জন করে বাংলা সাহিত্যে তার স্থান আরও সুদৃঢ় করেছেন। তার জন্ম ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ সেন্ট্রাল রোডে। শিক্ষাজীবনের সূচনা ধানমন্ডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, পরবর্তীতে পড়াশোনা করেন মেহেরুন্নিছা গার্লস স্কুল, ইডেন কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৯২ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি কানাডায় যান এবং ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টো থেকে ‘ক্রিয়েটিভ রাইটিংস’ বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনৈতিক জীবন ও সক্রিয়তা:
১৯৭৫ সালে ইডেন কলেজে অধ্যয়নকালীন সালমা বাণী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
সাহিত্যকর্ম:
সালমা বাণী কথাসাহিত্যে তার অসাধারণ অবদানের জন্য সুপরিচিত। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘নিন্দিত উত্তরণ’, ‘বোবা সময় ও নীল উপাখ্যান’, ‘ভাংগারি’, ‘গোলাপী মঞ্জিল’, ‘ইমিগ্রেশন’ এবং ‘জলের ওপরে টিপসই’। তার লেখাগুলি প্রবাসী বাংলাদেশীদের জীবন, বস্তি জীবন, শ্রেণিগত বৈষম্য এবং নারীর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে।
পুরস্কার ও সম্মাননা:
সালমা বাণী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পুরষ্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য পুরস্কারগুলির মধ্যে রয়েছে বাংলা একাডেমি পুরস্কার (২০২৩), কাগজ সাহিত্য পুরস্কার, জেমকন সাহিত্য পুরস্কার এবং বাংলা একাডেমি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরস্কার।
সালমা বাণীর সাহিত্যকর্ম বাংলাদেশের সাহিত্যের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ। তিনি তার সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশী সমাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি প্রবাসীদের জীবন ও সংগ্রামকেও চিত্রিত করেছেন যা তাকে একজন অনন্য সাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।