সাদেকুর রহমান নামটি নিয়ে দুটি ভিন্ন ব্যক্তির তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথম সাদেকুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল। তিনি ১ জুলাই ১৯৮৮ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯০ পর্যন্ত বাংলাদেশ রাইফেলসের মহাপরিচালক ছিলেন। ১৯৬১ সালে তিনি জিয়াউর রহমানের অধীনে একই রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন এবং ১৯৭৬ সালে ২২ বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহ দমনে ব্যর্থ হওয়ার পর বরখাস্তের সুপারিশ করা হলেও জিয়াউর রহমান তার চাকরি বহাল রাখেন। ৩০ আগস্ট ১৯৭৮ থেকে ২৬ মার্চ ১৯৮২ পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতির মিলিটারি সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ছিলেন। ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে এবং ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪ সালে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
দ্বিতীয় সাদেকুর রহমান ছিলেন একজন ছাত্র আন্দোলনকারী যিনি ২০১৯ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ৫ আগস্ট ২০২৩ সালে সাভারের বাইপাইল এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন এবং ৭ আগস্ট একই বছরে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি সাভারের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় ইমামতি করতেন এবং কাজও করতেন। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামে।
Key Information List:
- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সাদেকুর রহমান বাংলাদেশ রাইফেলসের মহাপরিচালক ছিলেন।
- ১৯৭৬ সালে ২২ বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহ দমনে ব্যর্থতার পরও জিয়াউর রহমান তার চাকরি বহাল রাখেন।
- রাষ্ট্রপতির মিলিটারি সেক্রেটারি এবং স্পোর্টস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
- ১৯৯৪ সালে দুর্নীতির অভিযোগে অবসরে পাঠানো হয়।
- ২০২৩ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী আরেকজন সাদেকুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
metadescription": [