বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ‘সাদ গোষ্ঠী’ নামে পরিচিত একটি গোষ্ঠীর উত্থান। এই গোষ্ঠীটির নেতৃত্ব দেন ভারতের মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্দালভী। তাঁর কিছু বিতর্কিত বক্তব্য এবং তাবলীগ জামাতের কর্মকাণ্ডে সংস্কারের প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে এই গোষ্ঠীটি গঠিত হয়। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের মাধ্যমে এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। পরবর্তীতে, বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন, ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ, এবং কাকরাইল মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বারবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সালে এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সংঘর্ষের ঘটনায় একাধিক লোকের মৃত্যু এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়। এই সংঘর্ষের ফলে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন বারবার ব্যাহত হয়েছে। সরকার বিভিন্ন সময় দুই পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু দ্বন্দ্বের মূল কারণ সমাধান করা সম্ভব হয়নি। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অবিশ্বাস ও পারস্পরিক অভিযোগের কারণে দ্বন্দ্ব দীর্ঘস্থায়ী হয়ে উঠেছে। ‘সাদ গোষ্ঠী’ ও তাদের বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা তাবলীগ জামাতের ভবিষ্যৎ এবং বাংলাদেশের ধর্মীয় পরিমণ্ডলে উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সাদ গোষ্ঠী
আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:৩১ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্দালভীর নেতৃত্বে ‘সাদ গোষ্ঠী’ গঠন
- ২০১৭ সাল থেকে তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব
- ইজতেমা ময়দান ও কাকরাইল মসজিদের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ
- ২০১৮ ও ২০২৪ সালে সংঘর্ষে একাধিক মৃত্যু ও আহত
- সরকারের মধ্যস্থতা সত্ত্বেও দ্বন্দ্বের অব্যাহত থাকা
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - সাদ গোষ্ঠী
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম
সাদ গোষ্ঠীর কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।